প্রশ্ন: পিলু ভট্টাচার্য, আপনি বামেদের প্রচারের থিম সং তৈরি করছেন। উত্তরবঙ্গে জোটের প্রচারে আসবেন?
উত্তর: হ্যাঁ, বামেদের থিম সং এ বার তৈরির দায়িত্ব ছিল আমারই। অসহ্য দিন বদলে দিন— এটাই থিম সংয়ের লাইন। এই গানের লেখা, সুর এবং গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের দায়িত্ব আমাকেই দেওয়া হয়েছে সিপিএমের তরফ থেকে। আমরা যারা ষাটের দশকের শেষ দিক বা সত্তরের দশকের গোড়ায় বড় হয়েছি, তাদের কাছে খুন, জখম, ধর্ষণ নতুন কোনও শব্দ নয়। এর পাশাপাশি তখন দেখতাম, বামপন্থী অনেক মানুষ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের দেখে বড় হয়েছি। কবে যেন সেই সূত্রেই চলে এসেছি এই স্রোতে। চলে এসেছিলাম গানেও। কখনও ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা’, কখনও ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা’...। এই সব গানই তখন আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত, বরাবরই বামপন্থী চেতনায় থাকতে চেয়েছি। অনেক বাম মনোভাবাপন্ন মানুষ পরে মত বদলেছেন। সঙ্গ বদলেছেন। আমি তাঁদের মতো বদলে যেতে চাইনি, চাইও না।
সম্প্রতি একটা কথা আমার মনে হয়েছে। যে কারণে বামপন্থীদের উপরে মানুষ রাগ করেছিল, গত পাঁচ বছরে পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই সব কারণগুলো চলে যাওয়ার বদলে যেন দ্বিগুণ হয়ে ফিরে এসেছে। ভোট দিতে দেব না— এ তো সেই কংগ্রেস আমল থেকেই চালু ছিল। তার পরে বাম আমল হয়ে এই জমানা, সব সময়েই এমন গা জোয়ারি দেখে এসেছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে অশোক ভট্টাচার্যই প্রথম বললেন, তুমি তোমার নিজের ভোটটা দাও। উত্তরবঙ্গে জোটের মূল কারিগরও তিনি। তিনি যদি ডাকেন, অবশ্যই উত্তরবঙ্গে প্রচারে যাব।
উত্তরবঙ্গ আমার প্রিয় জায়গা। সেখানে প্রিয় মানুষেরা আছেন। আছেন অশোকদা, জীবেশদা। তরুণ প্রজন্মের শঙ্কর ঘোষ। আলিপুরদুয়ারে আমার ছোটবেলা কেটেছে। তাই উত্তরবঙ্গের টান আমার কাছে অমোঘ। এই মানুষরা যদি ডাকেন, আমি অবশ্যই গিয়ে দাঁড়াব।