কটাক্ষ বাজেট বিতর্কেও

অশোকবাবুর বক্তব্য, অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন কৃষকদের মাথাপিছু আয় তিন গুণ বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজ্যে তো বটেই, অন্যত্রও আলোচ্য এখন কাটমানি। বাদ নয় বিধানসভাও। বাজেট বিতর্কে সরকার পক্ষের দিকে কাটমানি-খোঁচা এল বিরোধী শিবির থেকে। কৃষকদের আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকার বাজেটে যে-দাবি করেছে, তার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাজেট বিতর্কে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য কাটমানির প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

Advertisement

অশোকবাবুর বক্তব্য, অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন কৃষকদের মাথাপিছু আয় তিন গুণ বেড়েছে। কিন্তু এখানে ‘নন-ইকনমিক ফোর্স’ তৈরি হয়েছে। যাঁরা হঠাৎ ধনী হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা অর্থ, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক হয়েছেন। যা কাটমানির সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের বাজেটকে সারবত্তাহীন আখ্যা দিয়ে অশোকবাবুর দাবি, অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য-পরিসংখ্যান নির্ভরযোগ্য নয়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির যে-অভিযোগ উঠেছে, তা এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিএসডিপি) ১৬% বলে দাবি করেছে সরকার। কিন্তু সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস বা সিএসও-র তথ্য অনুয়ায়ী তা ৯.১%। কৃষকদের আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি দাবির প্রেক্ষিতে অশোকবাবুর প্রশ্ন, যেখানে গোটা দেশে কৃষকদের আয় কমেছে, সেখানে এ রাজ্যে তার ব্যতিক্রম হয় কী ভাবে?

সরকারের বাজেট-দাবির বিরোধিতা করে কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো জানান, শিল্প সম্মেলনে প্রচুর খরচ করা হলেও পুরুলিয়ার ২৭টি উৎকৃষ্ট মানের গ্রানাইট খনির বেশির ভাগই অব্যবহৃত থেকে গিয়েছে। তা ব্যবহার করলে পুরুলিয়ার চেহারা বদলে যেত। স্বাস্থ্যে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসক-ঘাটতি যে সমস্যা বাড়াচ্ছে, এ দিন সেই অভিযোগও করেন নেপালবাবু।

Advertisement

সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এনেছেন ফব বিধায়ক আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর)। তাঁর অভিযোগ, সবুজ সাথীর পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট তহবিল থেকে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের জন্য। ওয়াকফের জমিতে একাধিক হোটেল হয়েছে। সেগুলি ভাঙার নির্দেশ থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। মাদ্রাসা কমিশনে বহু পদ শূন্য এবং যুব উৎসবে উর্দুভাষী ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ না-দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভিক্টরের মন্তব্য, সরকার মুসলিম তোষণের নামে শোষণ করছে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সভায় ছিলেন না। মন্ত্রী এবং বিধায়কদের হাজিরাও ছিল বেশ কম।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement