Relief distribution

Relief Commodities: জল কমতেই জেলায় শুরু ত্রাণের ক্ষোভ

মালদহে গঙ্গা চরম বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। জেলার একাধিক এলাকা প্লাবিত গঙ্গার জলে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২১ ০৭:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

ঘাটাল ‘মাস্টার প্ল্যান’ আদায়ের জন্য টিম করে দিল্লি যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই জলভাসি অঞ্চলে পৌঁছলেন সেচ দফতরের প্রধান সচিব-সহ একাধিক দফতরের আধিকারিকেরা। বুধবার নৌকোয় চেপে ঘাটালের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি ঘাটাল টাউন হলে তাঁরা বৈঠক করলেন। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ‘মাস্টার প্ল্যান’-এর খুঁটিনাটি বিষয়-সহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

ঘাটাল শহরের ১২টি ওয়ার্ডে এখনও জল জমে। ব্লকের শতাধিক গ্রামও জলমগ্ন। তবে বন্যা পরিস্থিতির যত উন্নতি হচ্ছে, ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ ততই বাড়ছে। সঙ্কট তীব্র হচ্ছে পানীয় জলের। পাম্প চালিয়ে পানীয় জলের চাহিদা অনেকটাই মেটানো যাবে বলে প্রশাসনের আশা। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ হুগলিতেও। আগের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও খানাকুলের বানভাসি মানুষদের দুর্ভোগ কমেনি। ত্রাণের দাবি জোরাল হচ্ছে। বিক্ষোভও শুরু হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বিধ্বস্ত ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ সানকি মানছেন, এখানে সব মানুষেরই ত্রাণ প্রয়োজন। সে তুলনায় কিছুই মিলছে না ব্লক থেকে।

মালদহে গঙ্গা চরম বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। জেলার একাধিক এলাকা প্লাবিত গঙ্গার জলে। মুর্শিদাবাদের মতো তীব্র ভাঙনও শুরু হয়েছে জেলার বহু জায়গায়। ফুঁসছে ফুলহার ও মহানন্দা নদীও। ফুলহারের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত রতুয়া ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের একাংশ এলাকা। বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে। মানিকচক ব্লকের গদাই চরের বাসিন্দারা বাঁশের তৈরি মাচা ও উঁচু জায়গার আশ্রয় নিয়েছেন। ৩৩০টি পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। নদিয়াতেও ভাগীরথীর জল নামতে শুরু করার পরে ভাঙনের সম্ভাবনা বাড়ছে। শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ভাঙনের মুখে পড়েছে।

Advertisement

বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে হাওড়ায় চাষে ক্ষতি হয়েছে ১০৮ কোটি টাকার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি আমন ধানে। উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ২ ব্লকের আমন চাষ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির তালিকায় আছে আনাজ, পাট ও পান বরজও। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতির রিপোর্ট বুধবারেই নবান্নে পাঠানো হয়েছে। পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমেশ পাল বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির যা বহর, তা শুধু বিমা দিয়ে পূরণ করা যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement