ভোটের প্রচারে পার্থের সঙ্গে অর্পিতা (বাঁ দিক থেকে তৃতীয়)। ফাইল চিত্র
আপাতত ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের সংস্রব অস্বীকার করতে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন যে জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেই নদিয়াও ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু ঘটনা হল, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে পার্থের সঙ্গেই কল্যাণীতে এসেছিলেন অর্পিতা। ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল কল্যাণী আইটিআই মোড় লাগোয়া মাঠে নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে পার্থের পাশেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কল্যাণী কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস মঙ্গলবার বলেন, “পার্থবাবুর সঙ্গে এসেছিলেন উনি। তবে দলের কর্মী হিসাবে না কি অভিনেত্রী হিসাবে, তা মনে পড়ছে না।” ওই নির্বাচনী কেন্দ্রের আহ্বায়ক তথা দলের কল্যাণী শহর সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় ওরফে টিঙ্কুর ব্যাখ্যা, “কে কোথায় প্রচারে যাবে, তা দলই ঠিক করে। আমি যত দূর জানি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় শিল্পী হিসাবেই এসেছিলেন।”
বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি, “এটা তো স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল দলের সম্পর্ক রয়েছে। পার্থের সঙ্গে উনি বহু জায়গায় গিয়েছেন, দুর্গাপুজোর মঞ্চ বা দলের সভামঞ্চে উঠেছেন।” আবার সিপিএমের রাজ্য কমিটি তথা নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অলোকেশ দাসের কটাক্ষ, “অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলা ছাড়া তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও উপায় নেই। না হলে চুরির সঙ্গে সম্পর্কও যে মেনে নিতে হবে!” তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী রত্না ঘোষ বলেন, “আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে যা বলার বলছেন। দয়া করে আমাদের আর জিজ্ঞাসা করবেন না।”