বিপ্লবের ভাইকে বহিষ্কার

মঙ্গলবার তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ দল থেকে বহিষ্কার করলেন বিপ্লবের ভাই প্রশান্ত মিত্রকে। তিনি গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। দাদা বিপ্লবের সঙ্গে সোমবার তিনি দিল্লিতে হাজির ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০১:৫৪
Share:

বিপ্লব মিত্র। —ফাইল চিত্র

বিপ্লব মিত্র ও জেলা পরিষদের ১০ সদস্যের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক দিনের মধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুরে গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করল বঙ্গের শাসক দল।

Advertisement

মঙ্গলবার তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ দল থেকে বহিষ্কার করলেন বিপ্লবের ভাই প্রশান্ত মিত্রকে। তিনি গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। দাদা বিপ্লবের সঙ্গে সোমবার তিনি দিল্লিতে হাজির ছিলেন। কিন্তু পুরসভার কাউন্সিলরেরা পাশে না-থাকায় সে দিন তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি।

এ দিন প্রশান্তকে বহিষ্কার করে তাঁর বিরুদ্ধে পুরসভায় অনাস্থা আনার কথা জানান অর্পিতা। বিপ্লবের আর এক ভাই চিরঞ্জীব মিত্র এবং অনুগামী রতন ঘোষকেও বহিষ্কার করল তৃণমূল। চিরঞ্জীব উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া পর্ষদ-সহ একাধিক পদে ছিলেন। রতন গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা। অর্পিতার দাবি, ‘‘জেলা পরিষদের যে সদস্যেরা বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁদের অনেকে আবার দলে ফিরতে চাইছেন। কাজেই জেলা পরিষদ দখল হয়ে গিয়েছে— এমন দাবি ঠিক নয়।’’ বিপ্লবের পাল্টা, ‘‘আমিই সবাইকে টিকিট দিয়ে জিতিয়ে এনেছি। আগে জেলায় ফিরি, তার পরে পুরসভা নিয়েও ভাবব।’’ প্রশান্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তৃণমূল সূত্রের খবর, কিছুটা উজ্জীবিত দল এ দিন পতিরামে দখল হয়ে যাওয়া দলীয় দফতরও পুনর্দখল করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘যাঁরা পার্টি অফিস তৈরি করেছেন, তাঁরাই যদি বিজেপিতে চলে আসেন, তা হলে সেই অফিসে বিজেপির পতাকা তাঁরা লাগাতেই পারেন।’’

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement