শহিদ মিনার চত্বর খালি করার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে গেল সেনা। ফাইল চিত্র।
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান সরিয়ে দিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল সেনাবাহিনী। তাদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ মতো ওই জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা অগ্রাহ্য করেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। চলতি সপ্তাহেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনগতভাবে শহিদ মিনার চত্বর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন। তাদের অনুমতি নিয়েই সেখানে যাবতীয় সভা-সমাবেশ করতে হয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
ইতিমধ্যে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ১৭ এপ্রিল কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্যকে। সেই আলোচনার আগেই রাজধানীতে গিয়ে ডিএ-র দাবিতে সরব হওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোম এবং মঙ্গলবার আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মচারী সংগঠনগুলি একযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দেবে।
এই দু’দিন দিল্লিতে থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই দাবিই দেশের রাষ্ট্রপতি-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে তুলে ধরবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীরা তাঁদের জন্য সময় বরাদ্দ করেছেন বলেই সূত্রের খবর।