—প্রতীকী ছবি।
তীব্র গরমে স্টেশনে জল, পাখা-সহ স্বাচ্ছন্দ্যের বন্দোবস্ত নিয়ে রেলের প্রচারে খামতি নেই। তবে বাস্তবে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উল্টো, যার শরিক বৃহস্পতিবার শালিমার-ভজুডিহি আরণ্যক এক্সপ্রেসের বাতানুকূল কামরার যাত্রীরা। বাতানুকূল কামরার টিকিট কেটেও ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্য পাননি তাঁরা। রেল সূত্রের খবর, ওই ট্রেনের ‘সি-১’ কামরা গত তিন ধরে একই সমস্যা তৈরি করলেও তা মেরামতির কোনও ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ নেননি।
এ দিন সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে। ট্রেন ছাড়ার আগেই যাত্রীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে কামরায় বিদ্যুৎ নেই। বাতানুকূল যন্ত্র, আলো, পাখা কিছুই কাজ করছে না। এমনকি, শৌচাগারে জল ছিল না। ট্রেন ছাড়লে সব ঠিক হয়ে যাবে এমন আশ্বাস রেলকর্মীরা দিলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। শেষমেশ এসি কামরায় তিষ্ঠোতে না পেরে যাত্রীরা সাধারণ কামরায় গিয়ে ভিড় করেন। ওই ট্রেনেই ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিভাগের চিকিৎসক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওই ট্রেনে আগেও যাতায়াত করেছি। কিন্তু এমন দুঃসহ অভিজ্ঞতা হবে ভাবিনি।’’ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, ‘‘ট্রেনের বাতানুকূল যন্ত্রে একটা সমস্যা হয়েছিল। খড়গপুর স্টেশনে তা মেরামত করা হয়। তার পরে সমস্যা হয়নি।’’