—ফাইল চিত্র
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুললেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি আরামবাগে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার আরামবাগের গড়বাড়ি মাঠে ওই ঘটনার প্রতিবাদ সভা করতে গিয়ে তৃণমূলের ‘অপশাসন’ নিয়ে সরব হন দিলীপ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানোয় তাঁরা বাড়িতে থাকতে পারছেন না। ঘুমোতে পারছেন না।’’ এর পরেই দলের কর্মীদের তাঁর পরামর্শ, ‘‘যে নেতারা এফআইআর করছেন, তাঁদের নাম যেন লাল কালিতে লিখে রাখা হয়।ক্ষমতায় এলে তাঁদেরও ঘুমোতে দেওয়া হবে না। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী চোখ দেখালে, ধমকালে তাঁদেরও উল্টে চোখ দেখান, ধমকান। বলুন, আপনাদের দিন শেষ।’’
শাসকদলের ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ নেতাদের হাজতবাস করানোরও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাঁর তোপ, ‘‘গরিব মানুষ কিছুই পাচ্ছেন না। কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুট হচ্ছে। যে দিন পরিবর্তন হবে, পাই পয়সার হিসেব নেব।’’ তাঁর এই কথা যে ফাঁকা বুলি নয়, তা বোঝাতে দিলীপবাবু পি চিদম্বরম, লালুপ্রসাদ যাদবের জেলযাত্রার প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, ‘এত বড় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী যদি জেলে যেতে পারেন, দিদির ভাই-ভাইপো থেকে সবাইকেই জেলে ঢোকাব।’’
রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই হুঁশিয়ারিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে চাননি হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই দিলীপবাবু এ সব বলছেন। আমরা শীঘ্রই আরামবাগে পাল্টা সভা করব।’’
এ দিন শ্রীরামপুরে বন্ধ ইন্ডিয়া চটকল খোলার দাবিতে দুপুরে মিলের গেটের সামনেও সভা করে বিজেপি। ইন্ডিয়া জুটমিলের কথা তুলে অর্জুন বলেন, ‘‘এই সব জুটমিল, কারখানার জমিতেও এত দিনে বিল্ডিং হয়ে যেত। যাতায়াতের রাস্তা সরু বলে হয়নি।’’ বন্ধ কারখানায় আবাসন গড়ার চক্রান্তের বিষয়টি তিনি লোকসভায় তুলবেন বলেও জানান অর্জুন।