কাউন্সেলিংয়ে না-যাওয়া সত্ত্বেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে কর্মপ্রার্থীকে। প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়েও দেদার চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এ বার দেখা যাচ্ছে, কর্মপ্রার্থীদের ‘ওয়েটিং লিস্ট’ বা প্রতীক্ষার তালিকাভুক্ত প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে না-যাওয়া সত্ত্বেও তাঁর নামে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে!
শুক্রবার এমনই তথ্য উঠে এসেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষিকপদের জন্য যে-সব প্রার্থীর নাম প্রতীক্ষা-তালিকায় উঠেছে, তাঁদের অনেক পিছনে ছিলেন শামিমা পারভিন। এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তথ্য বলছে, ওই কর্মপ্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে হাজির হননি। অথচ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে তাঁর নামে নিয়োগপত্র বেরিয়ে গিয়েছে! এ ব্যাপারে এসএসসি-র কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি বসু। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ও রাজনৈতিক শিবির-সহ বিভিন্ন মহলের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, নিয়োগের নামে এ রাজ্যে আদতে কী হয়েছে, তা অনেকটা বোঝা যাচ্ছে। তবে অনিয়ম কত ধরনের হতে পারে, সেটা বোধ হয় এখনও জানা বাকি। নিত্যদিনই নতুন বিষয় উঠে আসছে।
মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, তাঁর মক্কেলের নাম প্রতীক্ষা-তালিকায় থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক কাউন্সেলিংয়ে তিনি ডাক পাননি। তাঁকে বলা হয়, এর আগেই তাঁর নামে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং ছাড়াই কী ভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন ওঠে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট স্কুলে এখনও কেউ যোগ দেননি। এসএসসি-র আইনজীবী এ দিন মৌখিক ভাবে জানান, শামিমা এর আগে কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিয়েছেন, এমন কোনও তথ্য নেই। তার পরেই রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।
এ দিকে, প্রতীক্ষা-তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ‘গ্রুপ সি’ বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মী-পদে কাউন্সেলিং শুরু করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুক্রবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছে, ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে। এটি পূর্বাঞ্চলের প্রথম পর্যায়ে কাউন্সেলিং বলে জানান এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। কোন প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে, তার তালিকা এসএসসি নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে কাউন্সেলিংয়ে যেতে হবে প্রার্থীদের।