প্রতীকী ছবি।
অতিমারি-জনিত পরিস্থিতি এবং লকডাউনের মধ্যে চটকলের শ্রমিকদের বেতন বা মজুরি দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যের শ্রম সচিবের কাছে আর্জি জানাল ফেডারেল চটকল মজদুর ইউনিয়ন। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির জেলাশাসক, সমস্ত চটকল কর্তৃপক্ষ, মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ এবং শ্রম কমিশনারের কাছেও সোমবার সংগঠনের তরফে ওই দাবি জানানো হয়েছে। চটকলে বেতন দেওয়ার সময় যে হেতু এসে গিয়েছে, তাই দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা।
ফেডারেল চটকল মজদুর ইউনিয়ন এআইটিইউসি-র অনুমোদিত। ওই সংগঠনের নেতা দেবাশিস দত্তের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সাম্প্রতিক ঘোষণায় ১০০ জনের বেশি কাজ করেন, এমন সংগঠিত শিল্প-শ্রমিকদের (যেমন, চটশিল্প) বেতন সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট আশ্বাস দেওয়া হয়নি। যদিও কেন্দ্রীয় শ্রম দফতর থেকে নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনও শিল্প ক্ষেত্রেই কর্মী সঙ্কোচন বা বেতন বন্ধ বাঞ্ছনীয় নয়। চালু ও বন্ধ, দু’ধরনের চটকলের শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়টিই মাথায় রাখার জন্য সরকার ও মিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেবাশিসবাবুরা। তাঁর কথায়, ‘‘চটশিল্পের সমস্ত শ্রমিক যাতে তাঁদের মজুরি পান, তার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। আশা করি, সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে ভুখমারি থেকে রক্ষা করবে, করোনা রুখতে তাঁদের মনোবল রক্ষা করবে।’’
হুগলির গোন্দলপাড়া, ইন্ডিয়া জুট মিল বা শ্যামনগরের ওয়েভার্লি-সহ গঙ্গার দু’পারে বেশ কিছু চটকল বন্ধ। করোনার জেরে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে বলেই শ্রমিক সংগঠনগুলির বক্তব্য।