কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলি সব কলকাতা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ছ’মাসের মধ্যে সেই মামলার শুনানি শেষ করতে বলা হয়েছে। তাই এর জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছ’মাসের মধ্যে এসএসসির নিয়োগ মামলার শুনানি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই দ্রুত বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা দরকার। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বিচারপতি শিবজ্ঞানম জানান, সব দিক খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যে তদন্ত করছে সিবিআই, সেই সমস্ত তদন্ত আগামী দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। এই সংক্রান্ত যে সব মামলা এত দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকে কলকাতা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ এই সব মামলার শুনানিও হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে আগামী ছ’মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেছে।
সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানিতে ক্রমাগত দেরি হচ্ছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মামলাকারীরা। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চকে অনুরোধ করেন, শুনানি যেন আর না পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ মামলাগুলি হাই কোর্টে ফেরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষকের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অনেকগুলি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে নিয়োগে অনিয়মের পাশাপাশি ওএমআর শিট প্রকাশ-সহ নানা বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট যে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল, তাতেও স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারা জানিয়েছিল, সব ক’টি মামলা আলাদা করে শুনানি হবে। যদিও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রতি বারই শুনানি পিছিয়ে যেতে থাকে নতুন নতুন তারিখে। পরে শীর্ষ আদালত জানায়, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে এই মামলা ফেরত যাবে। সে বিষয়েই বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানানো হল।