ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মামলা কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে অন্য এজলাসে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে যিনি উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর আইনজীবীও এ বার ওই বিচারপতির এজলাস থেকে মামলা সরাতে চাইছেন। মৃত্যুঞ্জয় পাল নামে ওই ব্যক্তি মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেছেন, গত বিধানসভা ভোটের প্রচারে মিঠুন নানা ধরনের উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছেন এবং তাঁর সেই সব বক্তব্যের ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে।
মৃত্যুঞ্জয়বাবুর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী মঙ্গলবার জানান, তাঁরা মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছেন। যদিও মামলা স্থানান্তর করতে চাওয়ার কারণ তিনি স্পষ্ট ভাবে জানাননি। তবে আদালত সূত্রের দাবি, নন্দীগ্রাম মামলা স্থানান্তরের আর্জিতে বলা হয়েছিল, বিচারপতি হওয়ার আগে কৌশিকবাবু যখন আইনজীবী ছিলেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর সক্রিয় যোগাযোগ ছিল। তাই নিরপেক্ষ বিচারের জন্য মামলাটি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক। মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর আইনজীবীরাও সম্ভবত সেই যুক্তি দেখাতে পারেন।
আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, বাদী বা বিবাদী পক্ষ মামলা স্থানান্তরের আর্জি জানাতেই পারে। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক যোগাযোগের অভিযোগ তুলে মামলা স্থানান্তরের আর্জি নিয়ে বিতর্কের পরিসরও রয়েছে।
মিঠুনই এফআইআর খারিজের জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এবং সেই মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সম্প্রতি হাই কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে শুনানির জন্য মামলাটি বিচারপতি চন্দের এজলাসে যায়। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, চলতি বছরে যে-সব ফৌজদারি মামলা হয়েছে, সেগুলির শুনানি হবে বিচারপতি চন্দের এজলাসে। এ দিন মামলার শুনানিও ছিল। রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করার জন্য সময় চান অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। আদালত তা মঞ্জুর করে। শুক্রবার ফের ওই মামলার শুনানি আছে।