Md Salim

রাজ্যের ‘অপরাজিতা’ বিল বানিয়েছে ‘ভাড়াটে’ সংস্থা! দাবি সেলিমের, ‘শূন্য’দের উত্তর দেব না, পাল্টা চন্দ্রিমা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ফাঁসির দাবি তুলেছেন, তাকেও কটাক্ষ করেছেন সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, সব প্রতিবাদে, সব ব্যানারে লেখা হচ্ছে ‘বিচার চাই’। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ‘ফাঁসি চাই’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৭
Share:

(বাঁ দিকে) মহম্মদ সেলিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল ছবি।

রাজ্য বিধানসভায় মঙ্গলবার আনা হয়েছে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। যা সর্বসম্মতিক্রমে পাশও হয়ে গিয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা পর সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করলেন, ওই বিল তৈরি করে দিয়েছে একটি ভাড়াটে সংস্থা। সেই সংস্থার পক্ষে যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন বাঙালি রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কথায় গুরুত্ব দিতে চাননি রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেলিমের অভিযোগকে ‘অবান্তর’ বলে দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী।

Advertisement

সেলিম বলেন, ‘‘এত দিন অনেক কিছু আউটসোর্স করা হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও আউটসোর্সিং হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম আমাদের রাজ্যে আইন আউটসোর্স করা হল।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘লোকসভা এবং বিধানসভাকে আইনসভা বলা হয় এই কারণে, সেখানে আইন প্রণয়ন হয়। কী ভাবে আইন প্রণয়ন হয়, তার প্রশিক্ষণ হয়। কিন্তু এখানে সে সব হল না।’’

পাল্টা চন্দ্রিমা বলেছেন, ‘‘সেলিমের অবান্তর কথার কোনও উত্তর দেব না। এই বিল পেশ করেছেন আইনমন্ত্রী। বিজেপি সমর্থন করেছে। সেই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। ওঁরা তো বিধানসভায় শূন্য। ওঁরা যত কম কথা বলবেন, তত ভাল।’’

Advertisement

সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এ-ও দাবি, এই বিল পাশ করা হয়েছে নজর ঘোরানোর জন্য। তাঁর কথায়, ‘‘এর পর মুখ্যমন্ত্রী বলবেন রাজ্যপাল সই করছেন না, রাজ্যপাল অন্য একটা কিছু বলবেন। দূরদৃষ্টি রেখে আইন আনতে হয়। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আইন এনে লাভ কী?’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ফাঁসির দাবি তুলেছেন, তাকেও কটাক্ষ করেছেন সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, সব প্রতিবাদে, সব ব্যানারে লেখা হচ্ছে ‘বিচার চাই’। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ‘ফাঁসি চাই’। এটাও নজর ঘোরানোর কৌশল। পরিসংখ্যান দিয়ে সেলিম দাবি করেন, ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দেশে শাস্তির হার ২৭.৪ শতাংশ। আর বাংলায় তা ৫.৮ শতাংশ। কেন জাতীয় হারের থেকে বাংলায় এত কম। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বাম জমানার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement