কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয়স্থল’ বলে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কলকাতায় এসে শনিবার তিনি বলেন, “মমতাদিদি’র শাসনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিকদেরও পাথর ছুড়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়!’’ তৃণমূল অবশ্য বিজেপিকেই দুর্নীতিগ্রস্তদের দল হিসেবে পাল্টা তোপ দেগেছে। পাশাপাশি, লোকসভা ভোট নিয়ে এ দিনই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এ দিন শহরে এসেছিলেন অনুরাগ। বিমানবন্দরে নেমেই রাজ্য সরকারকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অনুরাগ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ‘লুট’ হওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, “জনকল্যাণে যে অর্থ আসে, তা লুটপাট করার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। রাজ্য সরকার দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয়স্থল।” তাঁর প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তাঁর মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের লুটপাট করতে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন? না হলে কারও নামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাঁকে বাঁচাতে রাজপথে নেমে আসেন কেন?”
পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “ওঁরা যাঁদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলেন, তাঁদেরই পরবর্তী কালে নিজেদের নেতা বানিয়ে নেন। বিজেপিই শুভেন্দু অধিকারীকে চোর বলেছিল। সিবিআই-ও চেয়েছিল বিজেপি। এফআইআর হলেও তিনি বিজেপির নেতা। তাই ওদের মুখে দুর্নীতির কথা না বলাই ভাল।” এই প্রসঙ্গে আবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্ত চলছে। তার রায় আসার আগে কেউ চোর নয়, কেউ সাধু নয়। তদন্তে যাঁরা চোর প্রমাণিত হবেন, তাঁরা চোর। যে হেতু বড় দুর্নীতি হয়েছে, বিভিন্ন স্তরে তার তদন্ত চলছে। যাঁদের নাম আছে, তাঁরা সবাই চোর— এমন নয়। আবার যাঁর নাম নেই তিনি চোর হবেন না, এমনও নয়!”
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত এ দিনই রাজ্যে এসেছিলেন। তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ কয়েক জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে হিমন্ত বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে বাংলা আর ওড়িশায় আমার উপরে কিছু দায়িত্ব আছে। আজ এক ঘণ্টার জন্য এসেছিলাম। কিছু রণকৌশল ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হল।”