প্রতি বছর অনুব্রতের দেশের বাড়ির দুর্গা মন্দিরে পুজো হয়। ফাইল চিত্র।
শারদ-মরসুমে মন ভাল নেই গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলের। আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি কেষ্টর সঙ্গে কথাবার্তা বলে বার বার সে কথাই মনে হচ্ছে তাঁর সহ-আবাসিকদের, খবর সংশোধনাগার সূত্রে।
প্রতি বছর বীরভূমের নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে অনুব্রতের দেশের বাড়ির দুর্গা মন্দিরে পুজো হয়। এ বারও হচ্ছে। শুধু বাড়ির মেজো ছেলে কেষ্ট রয়েছেন সেখান থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দূরে আসানসোলের জেলে। সেখানেই মহালয়ার ভোরে শুনেছেন ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। তার পর থেকেই অনুব্রত নানুরের বাড়ির পুজোর আয়োজন, আচার নিয়ে নানা কথা বলছেন সহ-আবাসিকদের, দাবি জেলের রক্ষীদের সূত্রে। এমনকি, স্ত্রী ছবি মণ্ডলের প্রয়াণের পরে প্রথম বার পুজোয় মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে থাকতে না-পারা নিয়ে না কি আফসোসও করছেন অনুব্রত।
সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর সময়ে নতুন পোশাক পরার জন্য অনুরোধ করা হয় বন্দিদের। আদালত ছুটি থাকায়, জেল হেফাজতে থাকা অনুব্রতকে এ বার পুজোর মরসুম-সহ আপাতত প্রায় এক মাস সংশোধনাগারেই কাটাতে হবে। জেল সূত্রে খবর, আত্মীয়-পরিচিতেরা তাঁর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করছেন। প্যাকেট বন্দি জামাকাপড়ও পাঠানো হয়েছে। তবে তা নতুন কি না, জানা যায়নি।
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, শারদোৎসবের দিনগুলিতে আবাসিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকে। পুজোর চার দিন দুপুরে পাতে পড়তে পারে দেশি মুরগির ঝোল ও কষা, ফ্রায়েড রাইস, পুকুরের কাতলার ঝোল বা দই-কাতলার মতো নানা পদ। রাতের খাবারে প্রতিদিনই মিষ্টি বা পায়েস থাকতে পারে। সহ-আবাসিকদের ধারণা, এমন খাবার কেষ্টর মুখে রুচবে। কারণ, জেলে আসার পরেই তিনি দেশি মুরগি আর পুকুরের মাছের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীতে মিষ্টিমুখ এবং কোনও সামাজিক সংগঠনকে দিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসব করানোর ভাবনা-চিন্তা চলছে।
এ সব আয়োজনে অনুব্রতের মন ভাল হয় কি না, কৌতূহল রয়েছে সহ-আবাসিকদের মধ্যেও।