বঙ্গধ্বনি যাত্রায় অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
তাঁর নিজের গড়ে অমিত শাহ। অনুব্রত মণ্ডল কি চুপ থাকতে পারেন?
শাহের সফরের দিনে কী করবেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি, তা নিয়ে কৌতূহল ছিলই বিভিন্ন মহলে। রবিবাসরীয় বোলপুর তাই দেখল দুই শো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোড শো এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির ‘বঙ্গধ্বনি’ শো! দু’টিই শুরু হল বিকেল ৩টেয়!
ভিড়ে ঠাসা বোলপুরের রাস্তা যখন অমিতের রোড শো-এর সময় গেরুয়া পতাকা আর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে মুখরিত, তখন গত ১০ বছরে রাজ্য সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তার ‘রিপোর্ট কার্ড’ নিয়ে শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পথে নামলেন অনুব্রত। সঙ্গী মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এবং দলের কয়েকশো কর্মী। অনুব্রত নিজে অবশ্য এই যাত্রাকে শাহের কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে মানতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এটি ছিল না। বেশ কয়েক দিন আগেই ব্লকে ব্লকে বঙ্গধ্বনি যাত্রা শুরু হয়েছে। এ দিনের যাত্রা সেই কর্মসূচিরই অংশ।’’
ধারেভারে শাহের রোড শো-এর তুলনায় অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিল অনুব্রতের কর্মসূচি। তাঁর অভিযোগ, রোড শো-এ বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছিল। অনুব্রত বলেন, “উনি মিটিং-মিছিল করতেই পারেন। আমি মনে করি বীরভূমের মাটি খুব শক্ত। লালমাটির জায়গায় ঝাড়খণ্ড, আসানসোল, রানিগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর, কাটোয়া, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জায়গা থেকে লোক এনে র্যালি করেছে বিজেপি।’’ এর পরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘৪ তারিখ থেকে প্রতি ব্লকে জনসভা হবে ছোট ব্লকে ৫০ হাজার এবং বড় ব্লকে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার লোক হবে, মিলিয়ে নেবেন। সব জেলার লোক কিন্তু! বাইরে থেকে লোক আনতে হবে না।” নাম না করে এ দিন শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনুব্রত। তিনি বলেন, “সেকেন্ড ম্যান অনেক দিন আগেই দল থেকে চলে গিয়েছিল, কোনও লাভ হয়নি। আরও এক থার্ড ম্যান দল থেকে গেল, তো কী এসে যায়! ফার্স্ট ম্যান তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’