ফাইল চিত্র।
শুধু গরু পাচার নয়, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যাবতীয় ‘কুকর্মে’রই তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করলেন ডেউচা-পাঁচামি খনি প্রকল্পের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা। ওই প্রকল্পের প্রতিবাদে জনজাতি ও স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জীবন-জীবিকা এবং প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা গড়ে আন্দোলন চলছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বসুর মতো আন্দোলনকারীদের জেলও খাটতে হয়েছে। অনুব্রতের গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে প্রসেনজিতের দাবি, ‘‘বিজেপির কথামতো সিবিআই শুধু গরু পাচার আর ২০২১-এর নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ব্যাপারে অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এই মামলাগুলো অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধের। সকলেরই জানা যে, উনি এর থেকে অনেক বড় বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত! বেআইনি পাথর খাদান-ক্রাশারের ব্যবসাও এই চক্রের মধ্যে আছে। প্রগতিশীল সব শক্তিরই দাবি করা উচিত যে, এই মাফিয়া নেতার সমস্ত অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে, প্রমাণ সংগ্রহ করে কঠোরতম শাস্তি সুনিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা, অসাধু ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ওই মাফিয়া-চক্রের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধরতে হবে।’’ অনুব্রতের মতো নেতাকে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে বসিয়ে বীরভূম, বর্ধমান-সহ মধ্য বঙ্গের জেলাগুলিকে বোমা-বন্দুকের জোরে বিরোধীশূন্য করা, অসহায় মানুষকে ‘দলদাসে’ পরিণত করার গোটা ঘটনাপ্রবাহের দায় মুখ্যমন্ত্রীর বলেও দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।