Anubrata Mondal

Anubrata Mandal: চিনার পার্ক থেকে পাঠানো মাছের ঝোল, আলু-পোস্ত খেলেন কেষ্ট, জারি জেরা

সিবিআই সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসের একটি ঘরে সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রতের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তদন্তকারীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২২ ২১:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডল শনিবার বাড়ি থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন। দুপুরে তৃপ্তি করে সেই খাবার তিনি খেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে। শুক্রবার ঘণ্টাখানেকের জন্য গোয়েন্দারা তাঁকে জেরা করেন। শনিবার সন্ধ্যাতেও একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। দুপুরে অনুব্রতের আইনজীবীও দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে। তবে অনুব্রতের সঙ্গে শনিবার ফোনে কারও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এক মাত্র আইনজীবী ছাড়া তিনি অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতেও পারেননি।

Advertisement

সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডল শনিবার বাড়ি থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন। দুপুরে তৃপ্তি করে সেই খাবার তিনি খেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে। শুক্রবার ঘণ্টাখানেকের জন্য গোয়েন্দারা তাঁকে জেরা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যাতেও একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। দুপুরে অনুব্রতের আইনজীবীও দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে। তবে অনুব্রতের সঙ্গে শনিবার ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এক মাত্র আইনজীবী ছাড়া তিনি অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতেও পারেননি।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রতের চিনার পার্কের বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে খাবার এসেছিল। মেনুতে ছিল ভাত, আলু-পোস্ত এবং মাছের ঝোল। কেষ্ট বাড়ির সেই খাবার খুবই তৃপ্তি করে খেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে নিজাম প্যালেসের একটি ঘরে সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রতের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সিবিআইয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করতে না পারার জন্য অনুব্রত দুই পায়ে আড়ষ্টতা বোধ করছেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে ঘরে-বাইরে সিবিআই নজরদারিতে ওয়াকারে হাঁটানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

Advertisement

আপাতত নিজাম প্যালেসের ১৪ তলার ঘরে রয়েছেন অনুব্রত। ঘরটি বাতানুকূল। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই ঘরে একটি তক্তপোশ রয়েছে। রয়েছে তোশক, বিছানার চাদর এবং একটি বালিশ। অনুব্রতের গায়ে দেওয়ার জন্য রয়েছে একটি চাদরও। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে লিফ্‌টে করে ১৫ তলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তদন্তে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেই সিবিআইয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে। অনুব্রতের সঙ্গে বাইরের লোকজনের দেখা করার ক্ষেত্রেও অনেক কড়াকড়ি করেছে সিবিআই।

শনিবার দুপুরে অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে অনুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’’ কেমন আছেন তাঁর মক্কেল? বিশেষ কোনও কথা হয়েছে কি? সঞ্জীব বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। ফলে এর বাইরে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’

তবে সিবিইয়ের ওই সূত্রটির দাবি, শারীরিক ভাবে সুস্থই আছেন অনুব্রত। খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। রবিবার তাঁকে শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে কম্যান্ড হাসপাতালে। অনুব্রতের পা আড়ষ্ট অনুভব করা প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারীরা রবিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আটক করে সিবিআই। গরুপাচার মামলায় ওই দিন বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর আদালত অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অনুব্রতকে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে। তখন থেকেই সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে রয়েছেন অনুব্রত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement