ঘটকপুকুরেও আটকে দেওয়া হলো এনপিআর বিরোধী পদযাত্রা।—নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল ক্যানিংয়ের জীবনতলায়। একই অভিযোগ এল ভাঙড়ের ঘটকপুকুর থেকেও। এনপিআর-বিরোধী পদযাত্রা ফের আটকে গেল শাসক দল ও পুলিশের বাধায়। রাজ্য প্রশাসনের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার ভবানী ভবনে বিক্ষোভের ডাক দিল নাগরিকপঞ্জি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চ।
রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তরে গ্রাম থেকে শহর পদযাত্রার কর্মসূচি জানিয়ে মঞ্চের তরফে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও স্থানীয় স্তরে পুলিশ কোথাও ওই কর্মসূচির অনুমতি দিতে চায়নি। জীবনতলার দেউলি বাজারে শুক্রবার বাধা পাওয়ার পরে রবিবার ঘটকপুকুর থেকে পদযাত্রা শুরু করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন মঞ্চের সমর্থকেরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে শাসক দলের কর্মীরা মিছিল শুরু করতে বাধা দেন। ভাঙড় থানার পুলিশ এসেও জানিয়ে দেয়, দিল্লির ঘটনার প্রেক্ষিতে পদযাত্রা করা যাবে না। মঞ্চের নেতৃত্ব বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। কেন অনুমতি দেওয়া হবে না, লিখিত ভাবে তা জানানোও হয়নি।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। যুক্ত মঞ্চের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ বসুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘দিল্লির হিংসার প্রধান কাণ্ডারী অমিত শাহ বিনা বাধায় কলকাতায় সিএএ-র পক্ষে কর্মসূচি করে যাচ্ছেন! আর আমাদের এনপিআর-বিরোধী পদযাত্রা শাসক দলের গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশ মিলে আটকাতে চাইছে।’’ এরই প্রতিবাদে আগামিকাল ভবানী ভবনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিধাননগরে জনগণনা ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া আছে ৫ মার্চ। তবে জনগণনা অধিকর্তা সে দিন থাকবেন না বলে তাঁর সঙ্গে আজই মঞ্চের প্রতিনিধিদের দেখা করার কথা।