গ্রাফিক — শৌভিক দেবনাথ।
তৃণমূলে গত ১১ জুন ফিরেছেন মুকুল রায়। সে দিনই তালিকা থেকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট থেকে। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি-র ওয়েবসাইটে মুকুল রাজ্য কার্যকারিণী কমিটির সদস্য থেকে যান। তবে সেই ওয়েবসাইটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের পাশে বিধায়ক হিসেবে মুকুলের নাম নেই। তার বদলে রয়েছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম।
জগন্নাথ অবশ্য বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন শান্তিপুর আসন থেকে। কিন্তু সাংসদ পদ রাখার জন্য তিনি বিধায়ক হিসেবে শপথই নেননি। পরে বিধানসভায় এসে ইস্তফাও দেন। একই কাজ করেছিলেন কোচবিহার লোকসভা আসনের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
রাজ্য বিজেপির ওয়েবসাইটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের পাশে বিধায়ক হিসেবে মুকুলের নাম নেই। তার বদলে রয়েছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
দিনহাটা বিধানসভা আসনে জয় পেলেও জগন্নাথের মতো শপথ না নিয়ে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন তিনি। অথচ রাজ্য বিজেপি-র ওয়েবসাইটে এখনও দিনহাটার বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন নিশীথ। আর জগন্নাথের শান্তিপুরের উল্লেখই নেই। তার বদলে জগন্নাথের নাম বসে গিয়েছে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের পাশে। সব মিলিয়ে রীতিমতো জগাখিচুড়ি-কাণ্ড রাজ্য বিজেপি-র ওয়েবসাইটে।
রবিবারই আনন্দবাজার অনলাইন বিজেপি-র ওয়েবসাইটে মুকুল ছাড়াও শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম দলের কার্যকারিণী সদস্যদের তালিকায় থেকে যাওয়ার খবর করে। সোমবার তা সংশোধিত হলেও দেখা যায় অন্য একটি ভুল রয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘‘এটা প্রযুক্তিগত ভুল হয়ে থাকতে পারে। যাঁরা ওয়েবসাইট আপডেট করেছেন তাঁরাও ভুল করে থাকতে পারেন। দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে।’’ পরে সেই সংশোধন করা হলেও থেকে গেল অন্য ভুল।