স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের হালতুর বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
অদ্ভুত সমাপতন ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায় একে?
রাজ্য-সহ কলকাতায় ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সূচনা হয়ে গেল আজ, মঙ্গলবার থেকে। প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম মমতার হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেন।
ভাবছেন, তা হলে কি খোদ রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে আবেদন করেছিলেন? না, তিনি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের হালতুর বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স সত্তোরের কাছাকাছি। ঘটনাচক্রে প্রকল্পের রূপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নেমসেক’ মমতা ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথম পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি।
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’, প্রথম দিনই জমা পড়ল লক্ষাধিক আবেদনপত্র
আরও পড়ুন: অভিষেক, দিলীপ, সৌমিত্র: রাজনীতির ব্যক্তি আক্রমণ গড়াচ্ছে আদালতে
স্বামী ছিলেন রিকশা চালক। মারা যাওয়ার পর অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। ছেলের চায়ের দোকান। হালতু পূর্বাচলের বাসিন্দা চিকিৎসার খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন মমতা। সরকারি অফিসারেরা বাড়ির কাছে শিবির করেছেন শুনে এ দিন সেখানে পৌঁছন। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-এর মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা পেয়ে তিনি খুশি।
১০৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও, অন্য ওয়ার্ডেও শুরু হয়েছে প্রকল্পের কর্মসূচী। আগামী দিনে কলকাতার সব ওয়ার্ডে পৌঁছবে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান কো-ওয়ার্ডিনেটর মধুমিতা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা সরকারি সুবিধা দিতে মানুষের দুরায়ে পৌঁছচ্ছি। প্রচুর মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি প্রথম পেয়েছেন হালতুর বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেলে একটি চায়ের দোকান চালান। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ওনার পরিবার চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।”