ফাইল চিত্র
আদালতের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গড়ে পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করানোর দাবিতে আরও একটি মামলা করা হল সুপ্রিম কোর্টে। অভিযোগ, রাজ্যে ভোটের পরে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা আর এক ধর্মের মানুষের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে। কারণ, ওই ধর্মের লোকেরা পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। আগামী দিনেও তাঁরা যাতে নিজেদের পছন্দ মতো দলকেই ভোটে জেতাতে পারে, সেটাই হামলাকারী গোষ্ঠীর লক্ষ্য।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত সরনের বেঞ্চ আজ এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছে। মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অংশীদার করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আদালত মুখ্যমন্ত্রীর নামে কোনও নোটিস জারি করেনি। মামলাকারী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের মাধ্যমে করা মামলায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে ভোটের পরে তৃণমূলের সমর্থকরা সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে, তাঁদের সম্পত্তি লুট করছে। মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। এই রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী সম্প্রতি একই আইনজীবীর মাধ্যমে মথুরা থেকে মসজিদ সরানোর দাবিতে মামলা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ইতিপূর্বে একাধিক বার দাবি করেছেন, রাজ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা যা ঘটেছে, সেগুলিকে ভোট-পরবর্তী হিংসা বলা চলে না। এ সব বিজেপির অপপ্রচার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে বলেছেন, ‘‘এসআইটি-র তদন্ত হলে স্বাগত জানাব। যে পুলিশ বাহিনী নিষ্ক্রিয়, তার ডিজি থেকে আইসি-দের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক।’’