রাজ্যের স্বীকৃত প্রায় সবক’টি দলেরই কৃষক সংগঠন রয়েছে। শাসক দল হয়েও তৃণমূলের কৃষক শাখাকে এত দিন চোখে পড়েনি। দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তার পরে এ বার ঘুম ভাঙানো হচ্ছে তাদের! বিধানসভা ভোটের আগে কৃষকদের আরও সংহত করার লক্ষ্যে কৃষক ফ্রন্টে নজর দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব্। আগামী সেপ্টেম্বরে দলের কৃষক সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন ডেকে সেই বার্তাই দিলেন তাঁরা।
পশ্চিমবঙ্গ কৃষক তৃণমূল এবং খেতমজুর মঞ্চের ছাতার তলায় রাজ্য সম্মেলন হবে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর। সম্মেলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সিঙ্গুরকে। যেখানে টাটাদের প্রস্তাবিত গাড়ির কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন তৃণমূলকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনতে বিরাট ভূমিকা নিয়েছিল। কৃষক ও খেতমজুর মঞ্চের সভাপতি তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না রবিবার বলেছেন, ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাবেন। সব ঠিকমতো চললে হুগলির সিঙ্গুরে দাঁড়িয়েই বিধানসভা ভোটের আগে কৃষিনির্ভর গ্রামীণ জনতাকে বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী।
কৃষক সংগঠনকে সক্রিয় করার লক্ষ্যেই এ দিন তৃণমূল ভবনে সংশ্লিষ্ট নেতা ও মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ভূমি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমীর জানা, জয়ন্ত নস্কর, দীপক হালদার, রফিকুর রহমান, শেখ শাহনওয়াজ-সহ বেশ কয়েক জন বিধায়ক। রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে সিঙ্গুরে বড়সড় জমায়েত করা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। নানা প্রশ্নে গ্রামবাংলার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সুযোগ যাতে বিরোধীরা বেশি না নিতে পারে, নিজেদের কৃষক ফ্রন্টকে দিয়ে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে শাসক দলের একাংশের ব্যাখ্যা। এত দিন কি তাঁরা কৃষক সংগঠনের গুরুত্ব বুঝতে পারেননি? তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার অবশ্য দাবি, ‘‘এই সংগঠন আছে অনেক দিন ধরেই। সাম্প্রতিক কালে বড় কোনও কর্মসূচি হয়নি বলে হয়তো তাদের সক্রিয়তা নজর এড়িয়ে গিয়েছে।’’