Anis Khan

জখম সলমন কাল পর্যন্ত হাসপাতালে

গত শুক্রবার রাতে আমতার সারদা গ্রামে বাড়ির চৌহদ্দিতেই আক্রান্ত হন সলমন। তাঁর মাথায় টাঙির কোপ মারা হয়। তিনি আনিসের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার অন্যতম সাক্ষী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আমতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের জখম খুড়তুতো ভাই সলমন খান। ফাইল চিত্র।

বাড়িতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েও লাভ হয়নি। হাওড়ার আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের জখম খুড়তুতো ভাই সলমন খানকে বাড়ি ফেরাতে রাজি হননি পরিবারের লোকেরা। তাঁকে বুধবার পর্যন্ত উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালেই রাখতে অনুরোধ করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধই মেনে নিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সলমনকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তদের কাউকে সোমবার পর্যন্ত ধরতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

গত শুক্রবার রাতে আমতার সারদা গ্রামে বাড়ির চৌহদ্দিতেই আক্রান্ত হন সলমন। তাঁর মাথায় টাঙির কোপ মারা হয়। তিনি আনিসের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার অন্যতম সাক্ষী। ওই রাতেই তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসিসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়।

রবিবার সকালে সলমনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক চাপে পড়েই সলমনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর বাড়ির লোকজন। তাঁরা সলমনকে বাড়ি নিয়ে যেতে আপত্তি জানান। গভীর রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সলমনের বাড়িতে পুলিশ মারফত খবর পাঠান, তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই চিঠি অবশ্য নেয়নি সলমনের পরিবার।

Advertisement

সলমনের বাবা জালিম খান সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন, অন্তত দু’দিন যেন ছেলেকে রেখে দেওয়া হয়। তিনি এই অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠিও দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তার ভিত্তিতেই কাল, বুধবার পর্যন্ত সলমনকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের ডেপুটি সুপার হাসিবুল মল্লিক বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে কোনও রোগীকে ছাড়ার (ডিসচার্জ) পরেও তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া না হলে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাঠানো হয়। বাড়ি নিয়ে যেতে বলা হয়। এ ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ওঁরা (সলমনের বাড়ির লোকেরা) অনুরোধ করায় মানবিকতার খাতিরেই সলমনকে হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’’

এ দিন রাজ্য রাজ্য ফরেন্সিক বিভাগের একটি দল সলমনদের বাড়িতে আসে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানান, তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের ধরা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement