murder case

তরুণী খুনে দিল্লিতে খোঁজ বাবা ও ছেলের

দেহরাদূন জেলা পুলিশের দাবি, রাজপুর রোডে একটি ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে নিবেদিতাকে খুন করেছে তাঁর ‘বন্ধু’ অঙ্কিত চৌধুরীই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ০৭:০১
Share:

নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

দেহরাদূনের পুলিশ এখন এক তরুণ এবং তাঁর বাবাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ওই শৈলশহরে কর্মরত অবস্থায় বর্ধমানের অণ্ডালের তরুণী নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়কে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার মামলায় মূল অভিযুক্ত ছাড়া ওই দু’জনকে পাকড়াও করাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহ, ওই বাবা ও ছেলে দিল্লিতে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

Advertisement

দেহরাদূন জেলা পুলিশের দাবি, রাজপুর রোডে একটি ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে নিবেদিতাকে খুন করেছে তাঁর ‘বন্ধু’ অঙ্কিত চৌধুরীই। লকডাউন থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা বা বাড়ির কেয়ারটেকার তা টের পাননি। বৃহস্পতিবার দেহরাদূনের রাজপুর থানার ইনস্পেক্টর রাকেশ শাহ ফোনে বলেন, “অঙ্কিত স্বীকার করেছে, ঠেলে ফেলার ফলেই ওই তরুণী মারা যান। দেহটি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক মাস বাদে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ময়না-তদন্তে মৃত্যুর কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।”

রাকেশ জানান, ওই তরুণীর দেহ মসূরীর কাছে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে জ্বালিয়ে খাদে ফেলার কাজে অঙ্কিতের এক বন্ধুর বাবার গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। গাড়িতে সেই বন্ধু এবং তাঁর বাবাও ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা। “এটা পরিষ্কার, অঙ্কিতের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁরা পলাতক। খুন ছাড়াও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ নম্বর ধারায় মামলা করা হবে,” বলেন রাকেশ। পুলিশ জানায়, অন্য অভিযুক্তদেরও বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে। সেখানে তাঁদের খোঁজ মেলেনি। মোবাইলের লোকেশন বলছে, দিল্লি গিয়েছেন তাঁরা। আজ, শুক্রবার দেহরাদূন পুলিশ দিল্লি যাচ্ছে। নিহতের পরিজনের ডিএনএ-নমুনা দ্রুত সংগ্রহ করা হবে। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী এ দিন নিবেদিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। নিহতের দিদি অন্তরা মুখাপাধ্যায় বলেন, “বাড়ি থেকে দূরে কর্মরত আমার বোনের মতো অন্য মেয়েদের মুখ চেয়েও ন্যায় বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement