অনন্যা ইউক্রেনের হরলিভস্কা কাইন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মা অপর্ণা বলেন,‘‘বৃহস্পতিবার সকালে অনন্যা ফোন করে জানিয়েছে সে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বিপদমুক্ত হয়ে কোনও রকমে দেশে ফিরেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা অনন্যা পাইক। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। দিল্লিতে পা রাখলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাড়িতে ফিরতে পারেনি তিনি। কারণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়ে গিয়েছে বন্ধুর কাছে। বন্ধু দেশে ফিরলেই তিনি বাড়িতে ফিরতে পারবেন। দেশের মাটিতে পা রাখার খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁর বাবা অশোক পাইন ও মা অপর্ণা পাইন।
বৃস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা দিল্লিতে পৌঁছেছেন অনন্যা। দেশের মাটিতে পা রেখেই বাবা-মাকে ফোন করে দেশে ফেরার খবর জানিয়ে দেন।
অনন্যা ইউক্রেনের হরলিভস্কা কাইন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মা অপর্ণা বলেন,‘‘বৃহস্পতিবার সকালে অনন্যা ফোন করে জানিয়েছে সে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে ভারত সরকারের তরফে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বিমান বাহিনীর বিমানে তারা ১৮৩ জন দেশে ফিরতে পেরেছে।’’
তবে অনন্যার বেশ কিছু নথিপত্র তাঁর এক বন্ধুর ব্যাগে রয়েছে। তিনি দিল্লি পৌঁছানোর পর, ওই নথি ভারত সরকারকে দেখালে তবেই কলকাতা হয়ে মেদিনীপুরে বাড়িতে ফিরতে পারবেন অনন্যা। কলকাতা আসার খবর পেলেই সেখানে পৌঁছে যাবেন বাবা-মা মেয়েকে বাড়ি আনার জন্য।
মা অপর্ণা বলেন, ‘‘এখন অনেকটাই চিন্তা মুক্ত হলেও পুরোপুরি নয়, যত ক্ষণ না বাড়িতে ঢুকছে ততক্ষণ শান্তি নেই।’’