ওঁরা কাজ করেন। কিন্তু নীরবে। তাঁদের কাজ কখনও প্রচারের আলোয় আসে না। প্রচার কি চান তাঁরা? নাহ্। চান না। কাজের নেশায় কাজ করেন। প্রতিদানের আশা না করেই। সম্ভবত সে কারণেই তাঁরা প্রান্তিক। প্রান্তবাসীর কাজের খোঁজ কে-ই বা রাখে!
আনন্দবাজার ডিজিটাল রাখে। যেমন রেখেছিল বর্ধমানের সুজিত চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজ। তাই ২০২০ সালের ‘বছরের বেস্ট’-এর তালিকায় রেখেছিল ৭৮ বছরের শিক্ষক সুজিতবাবুকে। বছরে দু’টাকা ‘গুরুদক্ষিণা নিয়ে যিনি মানুষ গড়ার কাজ করেন। বছরের পর বছর। দশকের পর দশক। সুজিতবাবুকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্মান পেয়ে শিশুর মতো উচ্ছ্বসিত আটাত্তরের প্রবীণ। তাঁকে দেখে, তাঁর সম্মানপ্রাপ্তিতে আরও আলোর খোঁজে আমরা। ‘অ-সাধারণ’-এর খোঁজ। যাঁরা আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের মতোই। যাঁরা কাজও করেন সাধারণ মানুষের জন্য। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর— প্রতিটি মাসের শেষ দিনটিতে এমনই একেকজন সাধারণ্যে মিশে-থাকা ‘অ-সাধারণ’ মানুষকে পাঠক-দর্শকের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেবে আনন্দবাজার ডিজিটাল। প্রথমজনের জন্য নজর রাখুন ৩১ জানুয়ারি, রবিবার।
কে জানে, আগামী বছর এঁদের কারও হাতে উঠলেও উঠতে পারে ‘পদ্মসম্মান’!