ববিতা সরকারের চাকরি প্রসঙ্গে মতামত জানালেন অনামিকা রায়। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ববিতা সরকারের জায়গায় চাকরি পাচ্ছেন অনামিকা বিশ্বাস রায়। ববিতার ফেরত দেওয়া বেতনের টাকাও তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। আদালতের নির্দেশ শোনার পর সেই অনামিকা কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। ববিতাও চাকরি পান, সেই কামনাই করেন বলে জানিয়েছেন বিজয়ী অনামিকা।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনামিকা বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে ববিতার সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই। ওঁর জায়গায় অন্য কেউ হলেও তাঁকে চাকরি হারাতে হত। ২ নম্বর কমে যাওয়া মানে র্যাঙ্ক অনেকটা পিছিয়ে যাওয়া।’’
মঙ্গলবার ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার অংশ নিতে পারবেন তিনি। সে কথা শুনে অনামিকা বলেন, ‘‘তা হলে তো খুবই ভাল। আমিও চাই, ববিতা পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিক। তারও যাতে চাকরি হয়, আমি সেই কামনাই করি।’’
তবে ববিতার লড়াইকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে রাজি নন অনামিকা। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক চাকরিপ্রার্থীই তো চাকরির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অনেকেই ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। ববিতা না হলেও কেউ না কেউ এই লড়াই শুরু করতেনই। ন্যায় সর্বদা সত্যের সঙ্গে থাকে।’’
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনামিকা। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে দেখেই আমার মনে আশা জাগে। তিনি সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই রায় দিয়ে এসেছেন। আমি চাকরিটা পাব, প্রথম থেকেই সেই বিশ্বাস ছিল।’’ চাকরি পাওয়ার এই দিনটিকে ‘জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন’ বলে জানিয়েছেন অনামিকা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার নিয়োগে কারচুপির অভিযোগে তাঁর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বেতনও ফেরাতে হয় আদালতকে। সেই বেতনের পুরো টাকাই পেয়েছিলেন ববিতা। কিন্তু অনামিকার মামলার পর দেখা যায়, ববিতার নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। তাঁর চেয়ে অনামিকা আসলে ২ নম্বর বেশি পেয়েছেন। সেই মামলার রায়ে ববিতার চাকরিও বাতিল করে দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর চাকরি পাচ্ছেন অনামিকা। সেই সঙ্গে পরেশ-কন্যার থেকে তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন, তা-ও অনামিকার হাতে তুলে দেওয়া হবে।