রানির চরার বাসিন্দা শ্যামল দাস। —নিজস্ব চিত্র।
সমাজের ‘কল্যাণে’ প্রায় ১৫ বছর ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছেই বসবাস করছেন নবদ্বীপের এক বৃদ্ধ। ঈশ্বরের নামগানে যাতে সমাজের কল্যাণ হয়, সে জন্যই ঘর ছেড়েছেন বলে দাবি তাঁর। সেই সঙ্গে করোনার প্রকোপ রুখতেও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন ওই বৃদ্ধ।
নবদ্বীপের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রানির চরার বাসিন্দা শ্যামল দাস গত ১৪-১৫ বছর ধরে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে গঙ্গার ধারে একটি কদম গাছে বসবাস করছেন। ভিক্ষা করে পেট চালানো ওই বৃদ্ধ বহু বছর আগে গঙ্গার কাছে একটি ঘর তৈরি করেন। তবে বর্ষাকালে গঙ্গার জল বাড়লে তাঁর ঘরে জল ঢুকতে থাকে। এর পর এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্যে বাঁশ, দড়ি যোগাড় করে তিনি নিজেই একটি কদম গাছে ঘর তৈরি করেন। গাছের উপরের ঘর থেকে বৃদ্ধের ওঠানামার জন্য রয়েছে একটি বাঁশের মই। অশক্ত পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে সে ঘরে যাতায়াত করেন ওই বৃদ্ধ। তিনি বলেন, “সমাজের কল্যাণের জন্য এবং করোনার প্রকোপ থেকে মানুষ রক্ষা পায়, সে জন্যই ভগবানের নামগান করছি।”
এলাকার বাসিন্দাদার জানিয়েছেন, সারা দিন এলাকায় ভিক্ষা করে যা পান, তা দিয়েই গাছের ঘরে রান্না করেন ওই বৃদ্ধ। এর পর পুজো দিয়ে সে প্রসাদ পশুপাখিদের জন্য বাইরে রেখে দেন। পাখিদের জন্য মাটির হাড়িতে করে জলও রেখে দেন তিনি। এ ভাবেই চলছে তাঁর দিনযাপন।