ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের ধাক্কায় বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির মামলার ভিত্তিতে ১ ডিসেম্বর সিএজি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টেরই দ্বারস্থ হয়েছে। তবে বুধবার সেই আর্জির শুনানি হয়নি।
কিন্তু সেই আবেদন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোটের আগে ঝুলি থেকে দুর্নীতির বেড়াল বেরোনো আটকাতেই কি বার বার আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না বলে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগেও ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। তা খারিজ করে দেয় আদালত।
আমপানের পরেই ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অনেক জায়গাতেই আসল ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে পঞ্চায়েতের নেতা বা তাঁদের পরিজন টাকা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হতেই রাজ্যের শাসক দলের অনেক নেতা ‘ভুল করে’ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরতও দেন। কিন্তু তাতেও স্বচ্ছতা আসেনি।
আমপান ক্ষতিপূরণের মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী অরিন্দম জানা ও সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কে কে ত্রাণ পেয়েছেন, তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। আছে শুধু ব্লক-ভিত্তিক কিছু নাম। কারা টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং কত টাকা ফেরত দিয়েছেন, তারও কোনও তথ্য নেই। সেই সময়েও বিরোধী শিবির সরব হয়েছিল। এ বার রাজ্য সরকার ফের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর পরেও বিরোধীরা সরব হয়েছেন। সিএজি-কে দিয়ে অডিট করাতে রাজ্য সরকারের আপত্তি কেন, সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।