কুলতলির অবস্থা এখন এমনই। —নিজস্ব চিত্র।
আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন)-এর তাণ্ডবে তছনছ সুন্দরবন। মাতলার জল ভাসিয়ে দিয়েছে বহু গ্রাম। সরকারি সাহায্য চেয়ে হাহাকার কুলতলির দেউলবাড়ির দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। নোনা জল গিলে খেয়েছে মাঠ-ঘাট। আমপানের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি, কৈখালি, নগেনাবাদ, মৈপিঠ, পূর্ব গুড়গুড়িয়ার মতো এলাকাগুলিও।
দেবীপুরে মাতলার ধারে বাড়ি মহম্মদ জিয়াউল লস্করের। মীন ধরা পেশা। তাঁর কথায়: “এমন ঝড় জীবনে দেখিনি। ভয়ঙ্কর তাণ্ডবে আবার হারালাম বাড়ি।’’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ নেই, জলের হাহাকার, দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ
আরও পড়ুন: লকডাউনে বেতন নেই, তেলঙ্গানায় কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে বাঙালি পরিবার সহ আত্মঘাতী ৯
জিয়াউলের কথা কেড়ে তাঁরই প্রতিবেশী মইনুদ্দিন শেখ বললেন, ‘‘আর ক’টা ঘূর্ণিঝড় সামলালে সরকারি সাহায্য মিলবে?’’
কোলে বছর দেড়েকের সন্তান নিয়ে মাতলার পাড় ধরেই হেঁটে যাচ্ছিলেন ছায়রা খাঁ। দূরে জমির দিকে আঙুল তুলে বললেন, ‘‘ওই ওখানে আমার ঘর ছিল। এখন কেউ দেখে বলবে, ওটা বসত ভিটে?’’ ছায়রার চোখের কোণ ভিজে যাচ্ছিল বার বার। আঁচলের খুঁট দিয়ে মুছে ফের বললেন, ‘‘এখন নতুন করে ঘর বাঁধার ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ নেই।’