Amit Shah

BJP: করোনাকালে বাংলায় আসব না, নড্ডার পরে জানিয়ে দিলেন শাহ, তারকাহীন পুরভোট পদ্মের

ঠিক ছিল ৯ এবং ১০ জানুয়ারি কলকাতায় সফরে আসবেন নড্ডা। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আসবেন শাহ। কয়েকদিন আগেই নড্ডা কর্মসূচি বাতিল করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:০৮
Share:

রাজ্যে তথা দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে সফর ঘোষণা করেও তা বাতিল করে দিয়েছেন নড্ডা এবং শাহ।

বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের প্রচারে তারকার হাট বসিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাত ভুলে বাংলাকেই ‘ঘর’ বানিয়ে ফেলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এত ঘন ঘন এসেছেন যে, তৃণমূল তাঁদের ‘ডেলি প্যাসেঞ্জার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিল। কিন্তু নাম-কা-ওয়াস্তে লড়াই করা কলকাতা পুরভোটে কোনও সর্বভারতীয় নেতাকে প্রচারে দেখা যায়নি। আসন্ন চার পুরসভার ভোটেও পদ্মের প্রচার তারকাহীনই থাকছে। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যে তথা দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে সফর ঘোষণা করেও তা বাতিল করে দিয়েছেন নড্ডা এবং শাহ।

সম্প্রতি কলকাতায় রাজ্য বিজেপি-র নতুন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ৯ এবং ১০ জানুয়ারি কলকাতায় সফর করবেন নড্ডা। এর পরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আসবেন শাহ। কয়েকদিন আগেই নড্ডা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর কর্মসূচি বাতিল। এর পরে রাজ্য বিজেপি-র আশা ছিল শিলিগুড়ি পুরভোটের আগে শাহর সফর হবে উত্তরবঙ্গে। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, শেষবেলায় শাহও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলা সফর বাতিল করছেন। পরিস্থিতির কোনও নাটকীয় বদল না হলে শাহের সফর যে বাতিল হচ্ছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি সে খবর প্রকাশ্যে জানিয়ে দিতে পারে। পর পর নড্ডা ও শাহ সফর বাতিল করলেও রাজ্য বিজেপি-র দাবি, বাংলার করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের নেতৃত্বই এই দুই কর্মসূচি বাতিল করার কথা ঠিক করেছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। শুক্রবারেই এক মাস করে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে কমিশনে চিঠি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে রাজ্য বিজেপি চাইছে, অন্ততপক্ষে বিধান‌নগরের ভোট পিছিয়ে দিক কমিশন। তাদের যুক্তি, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগরের তুলনায় বিধাননগরে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি।

যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বিজেপি-র এই দাবির পিছনেও রয়েছে রাজনীতি। গেরুয়া শিবির চাইছে, দল তুলনামূলক ভাবে ‘শক্তিশালী’ শিলিগুড়িতে আগে ভোট হয়ে যাক। সেখানে ফল ভাল হলে বাকি জায়গায় তার ‘ইতিবাচক প্রভাব’ পড়তে পারে। সেই লক্ষ্য নিয়েই গঙ্গাসাগর মেলায় জমায়েতের বিরোধিতা থেকে নড্ডা, শাহদের কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি যে ‘উদ্বিগ্ন’ সেটা বোঝাতেই এই পরিকল্পনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement