Amit Shah

‘কর্মীদের কাছে পৌঁছন’, রাজ্য বিজেপিকে শাহের বার্তা

দলের উদ্দেশে অমিত শাহ জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে জায়গা পোক্ত করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৩৬
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।

সরকারি কর্মসূচিতে কলকাতায় এসেছেন তিনি। তাঁর আজ, শনিবার সেই কর্মসূচির আগে শুক্রবার রাতেই বিজেপির রাজ্য দফতরে ঘুরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় বিজেপির রাজ্য দফতরে এটাই তাঁর প্রথম সফর। তাঁর এই রাজনৈতিক কর্মসূচি এক দিকে যেমন বিজেপি নেতা ও কর্মীদের মধ্যে সাড়া ফেলল, তেমনই রাজ্য দলের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি সাংগঠনিক ‘ঘাটতি’র দিকগুলিও চিহ্নিত করে দিলেন।

Advertisement

বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের দফতরে এ দিন রাতে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন), পাঁচ সাধারণ সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, দুই সহ-পর্যবেক্ষক এবং কিছু বাছাই সাংসদকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। তবে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি। পরে দিলীপ বলেন, “উনি বলেছেন, কর্মীরা রয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। তাঁদের কাছে যেতে হবে। খোঁজ নিতে হবে।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিকল্পনা ও বাংলায় দুর্নীতি-সহ যা ঘটছে, সে সব নিয়ে নেতারা শাহকে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, কর্মীদের আগলে রাখার কথা বারবার উঠে এসেছে তাঁর কথায়। সেই সঙ্গে নিচু তলায় নেতাদের পৌঁছতে বলেছেন। এ ছাড়া, দলের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে জায়গা পোক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে দৃশ্যমান বিষয়গুলি নিতে আরও বেশি সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে হবে।

নবান্নে আজ পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক রয়েছে। সেই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা তাঁর। সে দিকে আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তার আগেই এ দিন রাত ৮ টার কিছু পরে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন শাহ। সেখান থেকেই বিজেপির রাজ্য দফতরে আসেন তিনি। ‘শাহি’ সফর উপলক্ষে এ দিন রাজ্য দফতরের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাত ১০টার কিছু পরে তিনি ই এম বাইপাসের হোটেলে চলে যান। বিমানবন্দর থেকে আসা এবং রাজ্য দফতর থেকে ফেরার পথে তাঁর সঙ্গেই গাড়িতে ছিলেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দলীয় সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী অথবা বিরোধী দলনেতাকে সফরসঙ্গী করাই বিজেপির সাংগঠনিক রীতি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement