State News

‘ছবিতেই তো দেখা যাচ্ছে হাত পেতে পয়সা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা’

নারদ-কাণ্ড থেকে সারদা, গরুপাচার থেকে অনুন্নয়ন— সব কিছু নিয়েই রাজ্য সরকার এবং শাসকদলকে বিঁধলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার সকালে তিনি কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। অমিত শাহ যা বললেন

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ১২:২৩
Share:

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

নারদ-কাণ্ড থেকে সারদা, গরুপাচার থেকে অনুন্নয়ন— সব কিছু নিয়েই রাজ্য সরকার এবং শাসকদলকে বিঁধলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার সকালে তিনি কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে অমিত বলেন, ‘‘পয়সা নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতারা ধরা পড়েছে। ক্যামেরার সামনে প্রমাণ রয়েছে। এটা কোনও বানানো অভিযোগ নয়। গোটা দুনিয়া দেখেছে সেটা।’’ এ রাজ্যে দুর্নীতির এখন বাড়বাড়ন্ত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘যে রাজ্যেই আমাদের সরকার গড়া হয়েছে, সেখানার উন্নয়ন হয়েছে। বাংলায় যদি আমরা সরকার গড়ি, তা হলে সোনার বাংলাকে ফিরিয়ে আনব।’’

Advertisement

তিন দিনের রাজ্য সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন অমিত। মঙ্গলবার নকশালবাড়ি থেকে শুরু হয়েছে তাঁর সফর। নকশালবাড়ির সভা থেকে অমিত দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালে বাংলায় পদ্ম ফুটতে শুরু করবে এবং ২০২১ সালে গোটা বাংলা বিজেপির হবে। অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প রাজ্য রূপায়ণ করে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন তিনি। এ দিনও একই ভঙ্গিমায় ছিলেন তিনি।

অমিত শাহ বললেন—

Advertisement

রামনবমীতে অস্ত্র-মিছিল নিয়ে আমার কাছে কোনও খবর নেই। এমনটা যদি হয়ে থাকে, তবে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানো নয়, গোটা দেশের মানুষকেই উন্নয়নের শরিক করতে হবে।

উন্নয়ন দিয়েই আমরা ভোটারদের আকৃষ্ট করব। এবং নিজেদের দিকে নিয়ে আসব।

মমতার বিজেপি-আতঙ্ক রয়েছে।

বুথ এবং গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিজেপি-র সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো হবে। দলীয় কর্মীরা সে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
তরজায় তাতল পদ্ম ও ঘাসফুল

ক্ষমতায় এলে গরু পাচার রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হবে।

পয়সা নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতারা ধরা পড়েছে। ক্যামেরার সামনে প্রমাণ রয়েছে। এটা কোনও বানানো অভিযোগ নয়। গোটা দুনিয়া দেখেছে সেটা।

রামজন্মভূমি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। এটা বিচারাধীন বিষয়।

সকলেই জানেন, সীমান্তে জাল নোটের কারবার চলে। তা নিয়ে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

সকলেই আইন মেনে চলুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না (গোরক্ষক প্রসঙ্গে)।

ওড়িশা-ত্রিপুরাতে বিজেপি দু’নম্বরে। মণিপুরে প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হিসাবেও আমরা অনেকটা এগিয়েছি। এবং সরকারও গড়েছি। এই সব জয়ের প্রভাব বাংলাতেও পড়বে। কারণ আমরা উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।

যে রাজ্যেই আমাদের সরকার গড়া হয়েছে, সেখানার উন্নয়ন হয়েছে। বাংলায় যদি আমরা সরকার গড়ি, তা হলে সোনার বাংলাকে ফিরিয়ে আনব।

ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করার আগে ভাবা উচিত, ২০১৫তে এই ইভিএম নিয়েই তো অরবিন্দ কেজরীবাল নির্বাচনে জিতে এসেছেন। জনতার রায় স্বীকার করা উচিত।

বিজেপি শাসনে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত কমেছে।

আরও পড়ুন
পাত পড়ল টিনের ঘরে

হিংসার জবাব উন্নয়ন দিয়ে দিতে হবে। মাওবাদীর দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

বিজেপি-র সঙ্গে আসুন, সোনার বাংলা নির্মাণে সাহায্য করুন।

উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, গোয়া, উত্তরাখণ্ডের পর এ বার বাংলা।

বাংলায় বিজেপি যে ভাবে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ছে তাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে আমরা সবচেয়ে বেশি আসন পাব।

শুধু বোমা বানানোর কারখানা হয়েছে বাংলায়। অন্য কারখানা সব বন্ধ।

সব বন্ধ করে এখানে তোষণের রাজনীতি চলছে।

কৃষি, উত্পাদন শিল্পে একেবারেই ব্যর্থ রাজ্য সরকার।

অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে রাজ্য ব্যর্থ।

নোট-বন্দির বিরোধিতা করে দেশের মানুষের কাছে হাস্যস্পদ হয়েছে বাংলা।

অথচ এ রাজ্যে জাল নোটের কারবার রুখতে পারেনি তারা।

অজুহাতের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লির মানুষ।

বাম আমলের থেকেও পিছিয়ে বাংলা।

দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল।

এ রাজ্যে দুর্নীতি বেড়েছে। সারদা-নারদের ঘটনাই বুঝিয়ে দেয় কী ভাবে তা বেড়েছে।

নৈতিকতার দিক থেকে তৃণমূল জবাব দেওয়ার অবস্থায় নেই।

বাংলার অবস্থা চিন্তাজনক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement