ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
এনজেপির জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাই, তৃণমূল সিএএ-র বিরোধিতা করছে। সেই কারণে তারা এর সম্বন্ধে মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছে। ওরা বলছে, সিএএ নাকি কোনওদিন বাস্তবের মাটিতে জারি হবে না। কিন্তু আমি আজ পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, করোনার দাপট কমলেই আমরা সিএএ জারি করব এবং আমাদের ভাইদের নাগরিকত্ব দেব। মমতা দিদি, আপনি তো এটাই চান, যে অনুপ্রবেশ জারি থাকুক, এবং বাংলাদেশ থেকে যে শরণার্থীরা এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব না পান। তৃণমূলের লোকেরা কান খুলে শুনে নিন, সিএএ বাস্তব ছিল, আছে এবং থাকবে। মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না।’’
প্রসঙ্গত, নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে প্রচার চলাকালীন, ঠিক এ কথাই অমিতের মুখে শোনা গিয়েছিল। বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা কমলে সিএএ প্রয়োগ নিয়ে বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় সিএএ-র দাবিতে বিক্ষোভও হয়েছে। দলের বেসুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও। প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, সিএএ-র নীতি প্রণয়ন এখনও হয়নি। একাধিক বার সংসদে নীতি প্রণয়নের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু সিএএ জারি হয়নি। এই প্রেক্ষিতে বিধানসভা ভোটে হারের এক বছর পর বাংলায় এসে ফের সেই কথাই শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এনজেপির সভায় অমিত হুঙ্কার দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিএএ প্রয়োগ ঠেকাতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই প্রসঙ্গে যা বলার জয়প্রকাশ বলবে।’’
দিদি জিটিএ ভোট করে আপনি গোর্খা ভাইবোনেদের কিনতে পারবেন না, এটা মনে রাখবেন। বললেন অমিত শাহ।
উত্তরবঙ্গকে মমতা দিদি সবসময় অবহেলা করেছেন। বিজেপি উত্তরবঙ্গকে প্রকৃত মর্যাদা দিয়েছে। আগামী দিনেও দেবে। বললেন অমিত শাহ।
করোনা কমলেই সিএএ হবে। মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না। শিলিগুড়ির জনসভা থেকে বললেন অমিত শাহ।
‘‘দিদি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন। ভাল কথা। বীরভূমের বগটুইতে পাঠিয়েছিলেন কি?’’ বললেন অমিত শাহ।
আমরা মানুষের রায় মেনে নিয়েছি। আমরা ভেবেছিলাম মমতা দিদি মনে হয় এ বার শুধরে যাবেন, কিন্তু এক বছর পর দেখছি, বাংলায় অত্যাচার কমেনি। কাটমানি বন্ধ হয়নি। দুর্নীতি চলছেই। সিন্ডিকেটরাজ চলছে। বিজেপি নেতা কর্মীদের খুন করাও বন্ধ হয়নি। বললেন অমিত শাহ।
বাংলা তথা উত্তরবঙ্গের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যখন লড়তে নামলাম তখন মাত্র তিনটি আসন ছিল, এখন আমরা ৭৭। এ জন্য বাংলার মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বিজেপিকে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট দিয়ে গ্রাম বাংলায় দলকে মজবুত করেছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতবিক্ষত বাংলা, বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিধানসভা থেকে বিরোধী নেতারা বহিষ্কৃত। জনসভায় মন্তব্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
শিলিগুড়ির সন্নিকটে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে ময়দানে জনসভার মঞ্চে উঠলেন অমিত শাহ।