ভাষণ দিচ্ছেন অমিত শাহ। নীচে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেই মহিলা। বৃহস্পতিবার নামখানা। নিজস্ব চিত্র
নামখানার জনসভায় অমিত শাহর বক্তৃতার সময় এক মহিলার বিক্ষোভ ঘিরে অস্বস্তিতে পড়তে হল বিজেপি-কে। ‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করে জনসভায় সবে বক্তৃতা দিতে শুরু করেছেন অমিত। তখনই একেবারে সামনের সারিতে এসে ব্যারিকেডের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শাড়ি পরিহিতা এক মধ্যবয়সী মহিলা। তাঁকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। বার তিনেক বক্তৃতা সাময়িক বন্ধও করে দিতে হয় অমিতকে। জনতাকে শান্ত করতে বারংবার ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনি দিতে থাকেন অমিত। শেষে এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘এ সব মমতাদিদির পদ্ধতি।’’
বৃহস্পতিবার নামখানার নান্দাভাঙার ইন্দিরা ময়দানে জনসভায় অমিত বক্তৃতা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলার বিক্ষোভ ঘিরে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। একেবারে মঞ্চের সামনে চলে এসে ওই মহিলা বাঁশের ব্যারিকেডে উঠে অমিতকে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। নিমেষের মধ্যেই সভায় গোলমাল শুরু হয়ে যায়। ওই মহিলাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। সভাস্থল জুড়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পেশায় শিক্ষিকা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন। চিৎকার করে বলেন, ‘‘৫ বছরে মোদী সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। বাংলাকে ত্রিপুরা বানাতে দেব না। অমিত শাহ দূর হটো।’’ বিজেপি কর্মীরা তাঁর কালো পতাকা কেড়ে নিলে, তিনি ব্লাউজের ভিতরে লুকিয়ে রাখা একটি পতাকা বের করে নাড়তে থাকেন। সেই সময় ব্যারিকেড থেকে টেনে হিঁচড়ে তাঁকে নীচে নামানো হয়। পরে সভায় কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকর্মীরা তাঁকে সভা থেকে বের করে দেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার গোলমাল শুরু হয় অমিত বক্তৃতা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই। তখন সবে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতাদের নাম বলছেন তিনি। আচমকাই দেখা যায় ওই মহিলা ব্যারিকেডে উঠে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন। ‘‘আজ আমার সৌভাগ্যের দিন...’’ বলেই থেমে যান অমিত। ওদিকে তখন মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হচ্ছে। শুধু মহিলারাই নয়, বিজেপি-র পুরুষ কর্মীরাও তাতে হাত লাগান বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সেই কারণে অমিত মঞ্চ থেকেই বলতে থাকেন, ‘‘ওঁকে কেউ নিগ্রহ করবেন না। ওঁকে সম্মানের সঙ্গে বাইরে যেতে দিন।’’ কিন্তু ততক্ষণে তুমুল গোলমাল শুরু হয়ে গিয়েছে মঞ্চের একেবারে সামনে। বারবার ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনি দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন অমিত। বারবার বলেন, ‘‘সবাই নিজের নিজের জায়গায় বসে যান, আমার সঙ্গে ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলুন।’’ এরই মধ্যে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এ সব মমতাদিদির পদ্ধতি। চিন্তা করবেন না।’’