কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই
পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে দাবি করলেন অমিত শাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্থলবন্দর এবং বিএসএফের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-১৭ সালে পেট্রাপোলে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। এখন তা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।’’
এ দিন শাহ পেট্রাপোল থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। তার পরে সুসংহত চেকপোস্টে দ্বিতীয় কার্গো গেট প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। তাঁর দাবি, এখন পরিকাঠামো উন্নত হওয়ায় বাণিজ্য বাড়ছে। শাহের কথায়, ‘‘পেট্রাপোলে রোজ ৬০০-৭০০ ট্রাক যাতায়াত করে। দেরি হয়, ভিড়ভাট্টা হয়। দ্বিতীয় কার্গো গেট হলে সমস্যার সমাধান হবে।’’
মঞ্চ থেকে পেট্রাপোলে তৈরি হওয়া হস্টেল হাউস, দমকল স্টেশন এবং অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার উদ্বোধন করেন শাহ। উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিএসএফের ৭টি প্রকল্প। তার মধ্যে আছে বিএসএফ ক্যাম্পও। ওই ৭টি প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেউ ভাঙতে পারবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিএসএফের অবদান স্মরণীয়।’’ তাঁর মতে, ‘‘স্থলবন্দর পড়শি দেশের সঙ্গে মৈত্রীর বার্তা দিতে রাজদূত হিসেবেও কাজ করে।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় পড়শি সাত দেশের সঙ্গে আমাদের ১৫ হাজার কিলোমিটার স্থল সীমান্ত আছে। ২০১৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্থলবন্দরগুলির পরিকাঠামো উন্নত করার কাজ করছেন। ফলে বাণিজ্য বেড়েছে।’’
পেট্রাপোলে সহযোগিতার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহ। অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুর। তৃণমূলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
বনগাঁর পুরপ্রধান, তৃণমূলের গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘আমরা যাঁরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, তাঁদের আমন্ত্রণ না করে বিজেপি রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখল না।’’ ওই পুরসভারই বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডলের পাল্টা দাবি, “যদি এটা রাজনৈতিক অসৌজন্যমূলক আচরণ হয়ে থাকে, তা হলে তা শিখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, সরকারি প্রশাসনিক বৈঠকে বিজেপির কোনও বিধায়ক ডাক পান না।”
এ দিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব, বিএসএফ যে জমি চেয়েছে, তা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তা হলে বিএসএফ রাজ্যের সীমান্তে ৭২টি জায়গায় কাঁটাতার দিতে পারবে। দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’’