মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র
পর পর দু’দিন। রবিবারের পর সোমবারেও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, নয়া কৃষি আইন-সহ নানা ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী বছরের জানুয়ারিতে কলকাতায় বিরোধী শিবিরের কুশীলবদের নিয়ে জনসভার আয়োজন করা হতে পারে। যার নেতৃত্বে তৃণমূল নেত্রী। তা নিয়েই কথা হয়েছে দু’জনের। বিধানসভা ভোটের আগে এ রাজ্যে শরদ আসতে পারেন বলেও এনসিপি সূত্রে খবর।
সোমবার এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিক বলেন, ‘‘সরকারি কর্তাদের সরিয়ে নিয়ে এবং রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে বিজেপি কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে তা নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়।’’ দেশের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের মুখদের একজোট করে মমতা-শরদ শীঘ্রই বৈঠকে বসতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নবাব। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে মমতাকে সমর্থন জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তার পরেই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় শরদের। পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি-বিরোধী শিবিরের মুখগুলিকে একজোট করে কলকাতায় হতে চলেছে জনসভা। ওই সভায় থাকতে পারেন আম আদমি পার্টির প্রধান কেজরীবাল, লালুপুত্র তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর নেতা তেজস্বী যাদব এবং ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতেই এককাট্টা দেখা যেতে পারে বিজেপি-বিরোধী শিবিরকে। বিজেপির বিরুদ্ধে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, নয়া কৃষি আইন এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোগত একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে ফের এক বার ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীরা। পর পর দু’দিন মমতা-শরদ ফোনালাপে সেই প্রচেষ্টা আরও গতি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে শুভেন্দু, কাঁথিতে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে ঢুকে পতাকা টাঙিয়ে দেব, অমিত-সফরের পরেই হুঁশিয়ারি অনুব্রতর
বাংলায় রাজনৈতিক নক্ষত্রের এই সমাহার অবশ্য নতুন নয়। গত বছর জানুয়ারি মাসেই ব্রিগেডের মঞ্চে ভিড় জমিয়েছিলেন সারা দেশের বিভিন্ন বিরোধী দলের একাধিক মুখ। কিন্তু ভোটে তেমন সাফল্য না মেলায় সেই প্রচেষ্টা তখনকার মতো থমকে যায়। এ বার ফের এক বার কোমর বাঁধছে বিরোধীরা।