TMC

আসানসোলে পুর প্রশাসক পদে অমরনাথ, সাহায্যের আশ্বাস জিতেন্দ্রর

কমিটিতে আনা হয়েছে এলাকায় জিতেন-বিরোধী হিসাবে পরিচিত, আগের পুরবোর্ডের ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৩৫
Share:

মলয় ঘটক এবং অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

আসানসোলের ‘মুশকিল’ আপাতত আসান করল রাজ্যের শাসকদল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, জিতেন্দ্র তিওয়ারির ছেড়ে যাওয়া পুর প্রশাসক পদে বসানো হল বিদায়ী চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। কমিটিতে আনা হয়েছে এলাকায় জিতেন-বিরোধী হিসাবে পরিচিত, আগের পুরবোর্ডের ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরাকে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রশাসক থাকাকালীন পুরনো কমিটিতে থাকা শিক্ষক নেতা অশোক রুদ্রকে তাৎপর্যপূণ ভাবে নতুন কমিটির বাইরে রাখা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যে দলবদলের আবহে আচমকা আসানসোলের পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমুলের জেলা সভাপতির পদ-ও ছেড়ে দেন তিনি। নাটকীয় ভাবে দু’দিনের মাথায় ফের জোড়াফুল শিবিরে ফেরেন জিতেন্দ্র। কিন্তু দলে ফিরলেও, আসানসোল পুরসভার প্রশাসক এবং দলের জেলা সভাপতির পদ জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, জিতেন্দ্রর ইস্তফার পর, আসানসোল নিয়ে অপেক্ষার নীতি নিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। ফলে শূন্য পুরপ্রশাসক পদে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে জল্পনাও বা়ড়ছিল।

জিতেন্দ্রর ইস্তফার ২০ দিনেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পর, শুক্রবার ওই পদে অমরনাথকে বসানোয় সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এ নিয়ে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। সোমবার পুর প্রশাসক পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন অমরনাথ। তিনি আসানসোলের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এলাকায় ‘সকলকে নিয়ে চলতে পারা’র খ্যাতি রয়েছে আসানসোল পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যানের ঝুলিতে। সেই অমরনাথ এই দায়িত্ব পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত দলের নেতা-কর্মীরা। দায়িত্ব পেয়েই অমর বলছেন, ‘‘আসানসোল পুরসভার সব ওয়ার্ডের মানুষ যাতে পরিষেবা পান সে দিকেই নজর থাকবে আমার।’’ আর রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের আশা, ‘‘অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় আসানসোলে উন্নয়নের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করবেন এবং তিনি এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:‘বিনামূল্যে টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে’, পুলিশের মোবাইলে মমতার বার্তা

আরও পড়ুন: নিজের ঢাকে নিজেই কাঠি, ‘অবাঙালিত্ব’ মুছতে কৈলাসের ঢাক কা নিনাদ

তাঁর স্থলাভিষিক্ত পুরপ্রশাসক এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ‘শুভেচ্ছা’ জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। আগের কমিটিতে থাকা কয়েক জনকে এ বার বাদ দেওয়া হল কেন? এ প্রশ্নের জবাবে জিতেন্দ্র-র সংযত জবাব, ‘‘এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। নতুন কমিটিকে আমার তরফ থেকে যতটা সাহায্য করার আমি করব। আমি বিশ্বাস করি, এঁদের নেতৃত্বে আমাদের শহর আরও এগিয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement