সুবোধ সিংহ। —ফাইল চিত্র
বিহার থেকে এ রাজ্যে এসেই এক সিআইডি অফিসার ও তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ‘গ্যাংস্টার’ সুবোধ সিংহের বিরুদ্ধে। সোমবার আসানসোল জেলে যাওয়ার সময় সুবোধ এই হুমকি দিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ করেছেন ওই অফিসার। রানিগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলার মামলায় এ দিন সুবোধকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে ২ দিন জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
২০১৮ থেকে বিহারের পটনার বেউর জেলে বন্দি ছিল সুবোধ। জেলে বসেই সে এ রাজ্যের নানা স্বর্ণ বিপণিতে লুটপাটে নেতৃত্ব দিয়েছে বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুন, ব্যবসায়ীকে তোলা চেয়ে হুমকির মতো নানা অভিযোগও রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সুবোধ পটনার জেলে বসে দেশের নানা প্রান্তে ডাকাতি, তোলাবাজি ও খুনের সিন্ডিকেট চালাত। জেলের নিয়মের তোয়াক্কা না করে মোবাইলে শাগরেদদের নির্দেশ দিত। সেখানকার জেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাতেই এমন অপরাধের সাম্রাজ্য সে গড়তে পেরেছিল বলে ধারণা তদন্তকারীদের। সিআইডির দাবি, তা ভাঙতেই তাকে এ রাজ্যে আনা হয়েছে। রানিগঞ্জের ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে রবিবার সুবোধকে বিহার থেকে নিয়ে আসে সিআইডি।
অভিযোগ, এ দিন আদালত থেকে সুবোধকে আসানসোল জেলে পৌঁছনোর সময়ে সিআইডি-র ডাকাতি, লুট ও চুরি শাখার ওসি খালুকুজ্জামানকে সে হুমকি দেয়। সিআইডি সূত্রের দাবি, সুবোধ ওই অফিসারকে বলে, ‘‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য আপনাকে মূল্য দিতে হবে। আপনার পরিবারকেও ভুগতে হবে।’’ সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, ‘‘দমে না গিয়ে ওই অফিসার সুবোধের বিরুদ্ধে আসানসোল দক্ষিণ থানায় খুনের হুমকি, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধার অভিযোগ করেছেন। তাঁর নিরাপত্তার দিকটি দেখা হচ্ছে।’’
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সুবোধের প্রায় ১৫ জন শাগরেদ বিভিন্ন মামলায় আসানসোল জেলে বন্দি রয়েছে। রবিবার জেল হেফাজতে গিয়ে তাদের কাছেই ওই অফিসার সম্পর্কে সে খোঁজ নেয় বলে অনুমান। সিআইডি সূত্রের দাবি, সুবোধকে জেলে ওই শাগরেদদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সে যাতে মোবাইল ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ জানান, এখনও এই আবেদন তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। তা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।