Midnapore Circuit House

মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে অনিয়ম! তদন্ত

মেদিনীপুর সার্কিট হাউস ‘হাই- সিকিয়োরিটি জ়োন’। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এলে বেশির ভাগ সময়ে এখানেই থাকেন। মন্ত্রীরাও থাকেন। সেখানেই অনিয়মের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৭:২১
Share:

মেদিনীপুর সার্কিট হাউস। নিজস্ব চিত্র

তদন্ত শুরু হয়েছে মেদিনীপুরের সার্কিট হাউস নিয়ে। সূত্রের খবর, একাধিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তদন্তের ব্যাপারে জেলাশাসকের দফতর থেকে নির্দেশিকা এসেছে। এতে নাম জড়িয়েছে সার্কিট হাউসের এক কর্মী ও জেলা কালেক্টরেটের এক কর্মীর।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি মানছেন, ‘‘অভিযোগপত্র এসেছিল। সেটি খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ অভিযোগ মূলত দু’টি। এক, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়া। দুই, সার্কিট হাউসের অপব্যবহার। সূত্রের খবর, কালেক্টরেটের ওই কর্মীকে ‘গুরু দায়িত্বপূর্ণ’ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত দুই কর্মীই নাকি প্রশাসনিক তদন্তের মুখে দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ। তাঁদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগকারীও সামনে আসতে চাননি। চিঠি পাঠিয়ে তিনি দাবি করেছেন, বিষয়টি জানাজানি হতে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, অভিযোগ প্রমাণে কেউ এখনও তদন্তের মুখোমুখি হননি। ফলে, তদন্ত এগোতে সমস্যা হচ্ছে।

মেদিনীপুর সার্কিট হাউস ‘হাই- সিকিয়োরিটি জ়োন’। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এলে বেশির ভাগ সময়ে এখানেই থাকেন। মন্ত্রীরাও থাকেন। সেখানেই অনিয়মের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ, সার্কিট হাউসে চাকরি করে দেওয়ার নামে সার্কিট হাউসের চতুর্থ শ্রেণির (গ্রুপ-ডি) চুক্তিভিত্তিক এক কর্মী এক জনের থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় ওই কর্মী দাবি করেছেন, টাকা তিনি কালেক্টরেটের তৃতীয় শ্রেণির কর্মী (গ্রুপ- সি)-কে দিয়েছিলেন।

Advertisement

আরও অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সার্কিট হাউস ব্যবহার করেছেন অভিযুক্ত ওই কর্মীর ছেলে, যিনি কি না এক বিডিও অফিসের ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সার্কিট হাউসের কর্মী অভিযোগকারীর কাছে দাবি করেছিলেন, জেলার এক মন্ত্রী, এক বিধায়কের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁর ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। জেলাশাসকের দফতরে এমন একাধিক অভিযোগ পৌঁছেছিল। তার পরই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মেদিনীপুরে এলে সার্কিট হাউসে আসেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’’ পরে মানসের সংযোজন, ‘‘মেদিনীপুর সার্কিট হাউস খুবই সুরক্ষিত। দেশের তিনটি সার্কিট হাউস সবচেয়ে পুরনো— মেদিনীপুর, বর্ধমান আর মুর্শিদাবাদ। জেলায় এলে এখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। প্রশাসনের উচিত সার্কিট হাউসের দিকে নজর রাখা।’’

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায়ের খোঁচা, ‘‘তৃণমূল জমানায় তো সব জায়গায় অনিয়মই দস্তুর। এ সব ক্ষেত্রে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।’’ সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পরই সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement