উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ
নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তথ্য দিতে না-পারলে কোনও রকম টাকা নেওয়া যাবে না বলে জানাচ্ছে আইন। তা সত্ত্বেও উত্তরপত্রের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ তথ্যের অধিকার আইন ভাঙছে বলে অভিযোগ উঠছে।
তথ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য চাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ যদি উত্তর দেন, তা হলে প্রতি পৃষ্ঠার প্রতিলিপি বাবদ দু’টাকা নেওয়া যাবে। কিন্তু এই উত্তর যদি ৩০ দিনের মধ্যে দেওয়া না-হয়, তা হলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তা আবেদনকারীকে দিতে হবে। অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দু’-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া এই নিয়ম মানছে না। আবেদনের ৩০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তারা উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের প্রতিলিপির জন্য পাতা-পিছু দু’টাকা নিচ্ছে।
নদিয়া জেলার এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবা জলেশ্বর ঘোষের অভিযোগ, মেয়ের খাতার প্রতিলিপি চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে তিনি ৩০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পান। ‘‘৩০ দিন পরে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দিলে পাতা-পিছু দু’টাকা নেওয়ার কথা নয়। কিন্তু আইন ভেঙে আমার কাছে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না-দিলে প্রতিলিপি দিতে অস্বীকার করে সংসদ। এমনকি বিলের কপিও দিচ্ছে না তারা,’’ বলেন জলেশ্বরবাবু।
আরও কয়েক জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী একই অভিযোগ করেছেন। ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হে়ডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী অনেক ছাত্রছাত্রীই উত্তরপত্র দেখতে চান। কিন্তু টাকার প্রশ্নে বহু পড়ুয়া বিভ্রান্ত। কারণ, তথ্য কমিশনের নিয়ম ভাঙছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আমরা ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। উত্তর নেই এসএমএসেরও।