ফিরে আসছেন পর্যটকেরা।
কাশ্মীর উপত্যকায় আবার অশান্তির আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। চিন্তার ভাঁজ কলকাতার ভ্রমণ সংস্থাগুলির কপালে।
শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীর সরকারের এক নির্দেশিকায় বলা হয়, সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, জঙ্গিরা ফের ভূস্বর্গে হামলা চালাতে পারে। বিশেষত অমরনাথকে নিশানা করতে পারে তারা। সুরক্ষার জন্যই পুণ্যার্থীদের দ্রুত উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সাধারণত অগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত দর্শন চলে। তবে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই অমরনাথের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান কাশ্মীরের হোটেল ও রেস্তরাঁ মালিক সংগঠনের সভাপতি ওয়াহিদ মালিক। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও, সোনমার্গ ও গুলমার্গ থেকে সব পর্যটককে শ্রীনগরে নামিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তার জন্য আমরা সব রকম ব্যবস্থা করেছি।’’ আজ, শনিবার ওই সব পর্যটক বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন।
কয়েক দিন আগেই অমরনাথ দর্শন করে কলকাতায় ফিরেছেন এক ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার রক্তিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘গত বারের থেকেও এ বার খুব শান্ত পরিবেশ দেখেছিলাম। হঠাৎ কী যে হল!’’ ৮ জুলাই ৫০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে অমরনাথ যায় রক্তিমবাবুর সংস্থা। ১৮ জুলাই দলটি ফিরেছে কলকাতায়। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ অমরনাথ যাত্রীদের জন্য এক মাস ধরে চন্দনবাড়িতে ক্যাম্প চালাচ্ছিল। সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ বলেন, ‘‘আমরা ৩০ জুলাই ক্যাম্প তুলে নিয়েছি। দর্শনও এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।’’ তিনি জানান, দিন দুয়েক আগে সঙ্ঘের জম্মু আশ্রমে এসে স্থানীয় থানা থেকে জানানো হয়েছে, আর কেউ যেন অমরনাথের রাস্তায় না-যান।
জম্মু-কাশ্মীরে আতঙ্ক ফিরে আসায় ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সভাপতি বাচ্চু চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা পর্যটনে বিরাট ধাক্কা।’’ পশ্চিমবঙ্গের এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’