Malda

ঘরে বসে বই দেখে পরীক্ষা, তবু সবাই ফেল! অবাক কাণ্ড মালদহের কলেজে

সত্যিই কেউ পাশ করতে পারেননি, নাকি প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি, খতিয়ে দেখছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৩৬
Share:

শোভনগর প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কলেজের ফল ঘোষণায় অনিশ্চয়তায় ভুগছেন পড়ুয়ারা।

বাড়িতে বসে পরীক্ষা। হাতে প্রশ্নপত্র। ইচ্ছে করলে বই দেখে বা ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েও উত্তর দেওয়া যেতে পারে। সবাই সেটাই করেছিলেন। তবু সেই পরীক্ষার ফল দেখে কার্যত আকাশ থেকে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় এক জনও পাশ করতে পারেননি! এমনই অবাক কাণ্ড মালদহের শোভানগর ডিএলএড কলেজে। সত্যিই সবাই ফেল করেছেন, নাকি প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি, খতিয়ে দেখছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

করোনা সংক্রমণের জেরে ২০১৮-’২০ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে ওপেন বুক পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছিল জেলার একমাত্র সরকারি প্রাথমিক শিক্ষণ কলেজে। ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল সেই পরীক্ষা। এক্সটার্নালে ৩১০ এবং ইন্টারনালে ৩৯০ মিলিয়ে মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। তাতে বই দেখে বা ইন্টারনেট ঘেঁটে উত্তর দেওয়ার বিকল্প ছিল। কর্তৃপক্ষেরও তাতে কোনও সমস্যা ছিল না। পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র নির্দিষ্ট লিঙ্কে আপলোড করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু শুক্রবার পরীক্ষার ফল বেরোতে দেখা গিয়েছে, ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পাশ করতে পারেননি। কোন বিষয়ে কে কত নম্বর পেয়েছেন, অনলাইনে প্রকাশিত ফলে সেটা জানানো হয় না। মার্কশিট পাওয়ার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গায় উত্তরপত্র আপলোড করেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে সব করার পরও ফেল করায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছি। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য শীঘ্রই টেট পরীক্ষা হতে পারে। কিন্তু এই রকম অসম্পূর্ণ রেজাল্ট হলে কী করে পরীক্ষায় বসব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও শুভেন্দু ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি, তাই বহাল নিরাপত্তা

আরও পড়ুন: অমিতের প্রস্তাব মানা হবে কি না, তা নিয়ে আজ বৈঠকে কৃষকরা

কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশের। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজর অধ্যক্ষ মিলন সাহা বলেন, ‘‘প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি হতে পারে। পর্ষদকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে।’’ অন্য দিকে কলেজের আধিকারিকদের সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তরপত্র আপলোডে, না কি ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে ত্রুটি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement