অনিমেষ তেওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডির অভিযোগ, স্কুল ও ডিআই (স্কুল পরিদর্শক)-এর অফিস থেকে উধাও করে দেওয়া হয়েছে ওই চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল।
অভিযোগ, সরকারি সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র ছাড়াই ছেলে অনিমেষ তেওয়ারিকে চাকরি দিয়েছিলেন বাবা আশিস তেওয়ারি। তদন্তকারীদের দাবি, এই বেনিয়ম যাতে কোনও ভাবেই জানাজানি না হয় তার জন্যই হাপিস করা হয়েছে ফাইল। অভিযোগ, খোঁজ মেলেনি প্রায় তিন বছর ধরে বাবার স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা, সিআইডি-র হাতে ধৃত অনিমেষের সার্ভিস বুকেরও।
এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হলে সিআইডির হাতে তদন্তভার যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে আশিসকে সিআইডি গ্রেফতার করে। ১৪ জুলাই গ্রেফতার হন অনিমেষ। সিআইডি সূত্রের খবর, অনিমেষকে গ্রেফতার করে তাঁর বাড়ি, ডিআই অফিস ও স্কুলে তল্লাশি চালিয়ে ওই চাকরি সংক্রান্ত কোনও ফাইল উদ্ধার হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, ‘প্রভাবশালী’ আশিস চার বছর জেলা পরিষদে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনও রকম সুপারিশ ছাড়াই ছেলেকে চাকরিতে ঢুকিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে মদত দিয়েছিলেন স্কুলেরই একাধিক শিক্ষক। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ভুয়ো নথি বানিয়ে সরকারি পে-রোলে শিক্ষক হিসেবে অনিমেষের নাম তোলার অভিযোগে প্রাক্তন ডিআই এবং স্কুলের দুই করণিককে ধরা হয়েছে।
এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘তদন্তে সার্ভিস বুক কিংবা চাকরি সংক্রান্ত ফাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এঁরা সে সব লোপাট করে, ধরা পড়ার পরে উল্টে এক জন মৃত বিডিওর নামে অভিযোগ করেছিল।’’ গোয়েন্দারা জানান, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেই বিডিওর কোনও ভূমিকা নেই ওই নিয়োগে।