— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছ থেকে ধৃত চার চাকরিপ্রার্থীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন। আলিপুর আদালত সোমবার তাঁদের জামিন দিয়ে জানাল, ভিআইপি এলাকায় যেতে পারবেন না ধৃতেরা। ধৃত ৫৯ জনের মধ্যে ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে শনিবারই জামিন দেওয়া হয়েছিল। এ বার বাকি চার জনকেও দেওয়া হল।
সোমবার জামিন পেয়ে চার জন যখন আদালত থেকে বার হন, তখন তাঁদের দিকে ফুল ছোড়া হয়। চার চাকরিপ্রার্থী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। গত চার দিন ধরে ঠিক করে খেতে, ঘুমাতে পারেননি। যদিও তাঁদের ফের হেফাজতে নিতে আবেদন করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। সেই আবেদন খারিজ হয়। সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, আলিপুর কোর্ট জানিয়েছে, ভিআইপি এলাকায় যেতে পারবেন না তাঁরা।
মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ছিল সেই বিক্ষোভের ৫৫৫তম দিন। সেই উপলক্ষে হাজরায় উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির মাঝেই ফাঁক গলে একদল চাকরিপ্রার্থী কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে চাকরি চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। পুলিশ এসে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় তাঁদের। লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ৫৯ জনকে শনিবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করেছিল পুলিশ। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ধর্নার ব্যানারকে সামনে রেখে অপরাধ করছেন বিক্ষোভকারীরা। ন’জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বিক্ষোভকারীদের চাকরিজীবন যাতে কালিমালিপ্ত করা যায়, গ্রেফতার করে তা নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ। বিচারক ৫৫ জন মহিলাকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন দেন শনিবার। ২,০০০ টাকা বন্ডের বিনিময়ে। এ বার বাকি চার জনকেও জামিন দেওয়া হল।