সব্যসাচী চৌধুরীর উপস্থিতিতে খুব ভাল সাড়া দিচ্ছে তার মেয়ে, জানালেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। — ফাইল চিত্র।
টানা ৬ দিন ধরে লড়াই চালানোর পর সোমবার ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। এই খবর খুশির হাওয়া এনে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থের শর্মা পরিবারে। ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা জানালেন, সব্যসাচী চৌধুরীর উপস্থিতিতে ‘খুব ভাল সাড়া’ দিচ্ছে তাঁর মেয়ে ঐন্দ্রিলা। তিনি এ-ও জানান, সঙ্গী সব্যসাচীর উপস্থিতিতে হেরফের ঘটছে ঐন্দ্রিলার হৃদ্স্পন্দনের হারেও।
কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ঐন্দ্রিলার। তাঁর শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন সব্যসাচী। এই খবর পেয়েছেন ঐন্দ্রিলার মা শিখাও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মেয়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে খুশি তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে শিখা বলেন, ‘‘সব্যসাচীর যে কোনও কথায় খুব ভাল সাড়া দিচ্ছে ঐন্দ্রিলা। ওর হৃদ্পিণ্ডের স্পন্দনের হার এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রার হেরফের হচ্ছে সব্যসাচীর আসা-যাওয়ায়।’’ তাঁর মেয়ে যে আগের থেকে অনেক ভাল আছে তা জানিয়েছেন শিখা। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ ঐন্দ্রিলার পাশে গিয়ে ওর হাতে হাত রাখলে তা ধরার চেষ্টা করছে আমার মেয়ে। তবে এখনও জ্ঞান ফেরেনি ওর।’’
ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য ওকে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ‘স্টিমুলেটিং থেরাপি’ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিখা। তাঁর কথায়, ‘‘পরিবারের সকলে মিলে ওকে স্টিমুলেটিং থেরাপি দেওয়া হচ্ছে।’’ সেই থেরাপি কী তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিখা। তিনি বলেন, ‘‘ওর দিদি, বাবা ওর পাশে গিয়ে ওর ছোটবেলার গল্প করছে। ওর সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তগুলি নিয়ে কথা বলছে। চিকিৎসকেরা আশা দিচ্ছেন।’’
সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে সব্যসাচী লেখেন, ‘‘হাসপাতালে ৬ দিন পূর্ণ হল আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ’’