বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ডিএসও সদস্যদের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের হাতাহাতি। —নিজস্ব চিত্র।
বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের দিন অশান্তি ছড়াল শিলিগুড়ি থেকে মেদিনীপুরে। হাতাহাতি, মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন ছাত্ররা। ধর্মঘটীদের ডিএসওর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শিক্ষকের অভাবে রাজ্যের ৮ হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সমাজমাধ্যমে বহু পোস্ট দেখা যাচ্ছে। ধর্মঘটীদের দাবি, রাজ্য সরকার হাজার হাজার স্কুল বন্ধ করে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এর প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন ডিএসও। যদিও বাস্তবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
নিজেদের কর্মসূচিকে সফল করতে শুক্রবার সকাল থেকেই ধর্মঘটীরা ভিড় করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। ধর্মঘট সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড ডিপার্টমেন্ট অর্থাৎ যেখান থেকে সমস্ত দফতরের চাবি বিতরণ করা হয়, সে দফতরেই তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে ডিএসওর বিরুদ্ধে অভিযোগ। তালা লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং ডিএসওর মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়।
উত্তরবঙ্গের মতোই অশান্তি দেখা দিয়েছে মেদিনীপুরে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েত হয়েছিলেন ডিএসওর সদস্য এবং সমর্থকেরা। অভিযোগ, কলেজের গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেওয়ার সময় তাঁদের বাধা দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই অনেকের হাতের প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিতে দেখা গিয়েছে বলেও দাবি। মেদিনীপুর কলেজের গন্ডগোলের পর বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা হয় বলেও অভিযোগ।