পদত্যাগপত্র গ্রহণ করল না এআইসিসি।
প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু, সোমেন মিত্রর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করল না এআইসিসি। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ জানিয়েছেন, নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি এলে তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তত দিন অবধি সোমেন মিত্রকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে সোমেন দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন রাহুল গাঁধী। এর পর দেশ জুড়ে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় নিয়ে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল। একই পথে পথে হেঁটে এ বার পদত্যাগ করলেন সোমেনও। প্রবীণ ওই নেতার বক্তব্য, রাহুলই তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যখন তিনিই আর দায়িত্বে থাকছেন না, এরপর তাঁর পদ আঁকড়ে থাকা অর্থহীন।
আরও পড়ুন: ফের এক বিধায়কের ইস্তফা, কর্নাটকে সঙ্কট কাটেনি, স্পিকার বললেন, ব্যবস্থা সংবিধান মেনে
টাকা নয়, এই স্কুলে পড়তে মাইনে দিতে হয় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে
একুশ বছর আগে, ১৯৯৮ সালে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দলের খারাপ ফলাফলের দায় গ্রহণ করে সভাপতির দায়িত্ব ছেড়েছিলেন করেছিলেন সোমেন। এ বার ইস্তফা দিলেও তা এখনও গ্রহণ করেনি হাইকম্যান্ড। আপাতত সোমেনই দায়িত্বে থাকছেন।
কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ জুলাই জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের ডাকা সভাতে রাজ্য কংগ্রেসের চলার পথ ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন গৌরব। সেই সভায় এআইসিসি-র প্রতিনিধি থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। গৌরব গগৈ জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে নতুন কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ হওয়ার পরে তিনিই ঠিক করবেন কোন রাজ্যে কে কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হবেন।