কোন পথে কংগ্রেস, খোঁজ নিলেন আহমেদ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪৬
Share:

আহমেদ পটেল।—ফাইল চিত্র।

তিন আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বামফ্রন্ট। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী, এআইসিসি-র তরফে খোঁজ নিলেন আহমেদ পটেল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র অবশ্য তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, বামেদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করেই তাঁরা বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন। লোকসভা ভোটের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ আর হবে না।

Advertisement

এআইসিসি-র তরফে বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ থাকতেও আহমেদকে আসরে নামতে হল কেন? কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নির্দেশেই সর্বশেষ পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন আহমেদ। কিছু দিন আগেই দিল্লি গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে বাংলার কংগ্রেস ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তার পরে তিনি সনিয়াকে চিঠি দেন তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বিষয়ে। বিজেপিকে হারানোর জন্য যা করণীয়, সব করার জন্য সনিয়াকে আর্জি জানান বিরোধী দলনেতা। দলীয় সূত্রের খবর, তার পরেই এআইসিসি-র তরফে খোঁজ নেওয়া হয়, প্রদেশ কংগ্রেস কি খড়গপুরের মতো কোথাও তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার কথা ভাবছে?

সোমেনবাবুর বক্তব্য, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বাস্তবায়িত হয়নি। এখন সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাম ও কংগ্রেসকে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। নির্বাচনী সমঝোতা সেই যৌথ আন্দোলনেরই অঙ্গ।’’ তাঁর চিঠির বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি মান্নান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে লেখার, সনিয়াজি’কে পাঠিয়ে দিয়েছি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নির্বাচন ও অন্যত্র উপনির্বাচনের পরে এখন এ রাজ্যের তিনটি আসনেই এমন কৌশল নেওয়া উচিত, যাতে বিজেপিকে হারানো যায়।’’ তবে খড়গপুরে দলের ‘অস্তিত্ব’ না থাকার যুক্তি নস্যাৎ করে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী বলছেন, এই বাজারেও রেল-শহরে কংগ্রেসের ৬ জন কাউন্সিলর আছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement